ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে

Mehediabedin:


{{তথ্যছক সড়ক
| country = BGD
| name = ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে
| route = N105
| map =
| map_notes =
| cities = [[ঢাকা]]
| alternate_name = ঢাকা সিটি বাইপাস
| length_km = ৪৮
| direction_a = উত্তর
| direction_b = দক্ষিণ
| terminus_a = কড্ডা, [[গাজীপুর জেলা|গাজীপুর]]
| junctions =
| terminus_b = মদনপুর, [[নারায়ণগঞ্জ জেলা|নারায়ণগঞ্জ]]
| photo =
| photo_notes =
| maint = [[বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ]]
| ahn = {{Jct|country=ASIA|AH|1}}
}}
”’ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে”’ হলো ঢাকা বিভাগে অবস্থিত {{রূপান্তর|48|km|mi|abbr=on}} বিশিষ্ট একটি নির্মাণাধীন [[নিয়ন্ত্রিত-প্রবেশযোগ্য মহাসড়ক]]। প্রকল্পটি [[এএইচ১|এশিয়ান হাইওয়ে ১]]-এর একটি অংশ। এটি নির্মাণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবেশ সড়ক ও মহাসড়কে ভারী যানজট কমানো।

== ইতিহাস ==
এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের আগে এখানে ঢাকা বাড়ায়বাইপাস সড়ক নামে একটি রাস্তা ছিল। ”[[বাংলাদেশ প্রতিদিন|বাংলাদেশ প্রতিদিন]]”-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার অনেক আগে থেকেই এই সড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরের কথা ভাবছিলো এবং এ নিয়ে নানা আলোচনাও চলছিলো।<ref name=”bp” /> ‘সাপোর্ট টু জয়দেবপুর–দেবগ্রাম–ভুলতা–মদনপুর রোড’ নামের রূপান্তর প্রকল্পটি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। [[জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি]] ৪ বছর পর প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়।<ref name=”ds” /> প্রাথমিকভাবে এই সড়কে সরকার ৪৫ কিলোমিটার উড়ালসেতু মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলো। এই উড়ালসড়ক প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল {{বাংলাদেশী টাকা|২৮২১ কোটি}}। কিন্তু দুই মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=সাদিক|প্রথমাংশ=মফিজুল|তারিখ=২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬|ভাষা=bn|শিরোনাম=৪৫ কিলোমিটার উড়াল মহাসড়ক নিয়ে ২ বিভাগের টানাপড়েন!|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/cat/news/bd/468313.details|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২|ওয়েবসাইট=[[বাংলানিউজ২৪.কম]]}}</ref> ৬ ডিসেম্বর ২০১৮-এ সরকার সড়কটিকে একটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তর করার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য [[সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ]], শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাথে একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, সবাই প্রাথমিকভাবে সম্মত হয় যে এই চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি {{বাংলাদেশী টাকা|৩৫০০ কোটি}} নির্মিত হবে। এতে সরকারের বিনিয়োগ ছিলো {{বাংলাদেশী টাকা|২৩০ কোটি}}। নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে ওভারপাস, আন্ডারপাস ও সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিলো।<ref name=”bp”>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bd-pratidin.com/last-page/2019/01/20/393278|শিরোনাম=ঢাকা বাইপাস রূপান্তর হচ্ছে এক্সপ্রেস সড়কে|শেষাংশ=হক|প্রথমাংশ=নিজামুল|তারিখ=২০ জানুয়ারি ২০১৯|কর্ম=[[বাংলাদেশ প্রতিদিন]]|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref> [[এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক]] এই প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শের জন্য দায়বদ্ধ।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailynayadiganta.com/city/377825/%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A7%A9-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF|শিরোনাম=ঢাকা বাইপাস সড়ক উন্নয়নের দায়িত্ব পেল ৩ কোম্পানি|তারিখ=৪ জানুয়ারি ২০১৯|কর্ম=[[নয়া দিগন্ত]]|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref> যাইহোক, ভূমি অধিগ্রহণ এবং অর্থায়ন কাজের জন্য জুন ২০২০-এর প্রকল্পের সময়সীমা পেরিয়ে যায়। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আরও ৪ বছর বাড়ানো হয়। এছাড়াও সরকার প্রকল্প বাজেটে তার অংশে বিনিয়োগ আরো {{বাংলাদেশী টাকা|৬৭৪.৩৪ কোটি}} বাড়ায়।<ref name=”ds”>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bangla.thedailystar.net/node/233357|শিরোনাম=ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ অবশেষে শুরু|শেষাংশ=অধিকারী|প্রথমাংশ=তুহিন শুভ্র|তারিখ=২২ জুন ২০২১|কর্ম=[[দ্য ডেইলি স্টার]]|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref> ২২ জুন ২০২১ তারিখে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি সংশোধনের পরে প্রকল্পটি আবার অনুমোদন করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailyjanakantha.com/economy/news/583773|শিরোনাম=ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে|তারিখ=২৭ জুন ২০২১|কর্ম=[[জনকণ্ঠ]]|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref> ২৪ এপ্রিল ২০২২-এ [[বাংলাদেশ অবকাঠামো ফিনান্স ফান্ড লিমিটেড|বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড]] এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের জন্য {{বাংলাদেশী টাকা|১০৭৫ কোটি}} ঋণ সহায়তা ঘোষণা করে এবং তারা ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে {{বাংলাদেশী টাকা|৪২.৫০ কোটি}} প্রদান করে। সরকার বাজেটে তার নিজস্ব বিনিয়োগ আরও {{বাংলাদেশী টাকা|২৭৫.৬৬ কোটি}} বাড়ায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/national/544922/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87|শিরোনাম=গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস বাইপাস হচ্ছে|তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০২২|কর্ম=[[যুগান্তর]]|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref> সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ, শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করে। প্রকল্পের জন্য গঠিত কোম্পানিকে এক্সপ্রেসওয়ে স্থাপনের পর ২৩ বছর ধরে টোল আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।<ref name=”inqilab”>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/489813/%E0%A7%AE-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8|শিরোনাম=৮ লেনের ঢাকা বাইপাস|শেষাংশ=শিকদার|প্রথমাংশ=খলিল|তারিখ=১ জুন ২০২২|কর্ম=[[দৈনিক ইনকিলাব]]|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref>

== নির্মাণ ==
২০২১ সালের জুনে ”[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)|দ্য ডেইলি স্টার]]” জানায় যে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ৭৩% সম্পূর্ণ হয়েছে।<ref name=”ds”/> ২৪ এপ্রিল ২০২২-এর পর বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের ঋণ সহায়তার কারণে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের গতি বেড়ে যায়।<ref name=”inqilab”/>

== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকার সড়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের এক্সপ্রেসওয়ে]]
[[বিষয়শ্রেণী:পূর্বাচল]]
[[বিষয়শ্রেণী:গাজীপুর জেলা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নারায়ণগঞ্জ জেলা]]


Posted

in

by

Tags: