প্রাণী কোষ

103.113.148.101: ← নতুন পৃষ্ঠা: ””’রবার্ট হুক প্রথম প্রাণীকোষ আবিষ্কার করেন””’ == ””’প্রাণীকোষ কি ?””’ == যে কোষ প্রাণী দেহ গঠন করে তাকে…

[[চিত্র:প্রাণী কোষ.svg|থাম্ব|311×311পিক্সেল|””’রবার্ট হুক প্রথম প্রাণীকোষ আবিষ্কার করেন””’]]

== ””’প্রাণীকোষ কি ?””’ ==
যে কোষ প্রাণী দেহ গঠন করে তাকে প্রাণীকোষ বলা হয় ।

একটি প্রাণী কোষের বৃহত্তম কোষ অঙ্গাণু হিসাবে সাধারণত নিউক্লিয়াস বিবেচিত হয় । নিউক্লিয়াস হলো একটি ঝিল্লি আবদ্ধ কোষ অঙ্গাণু যা কোষের জেনেটিক উপাদান, ডিএনএ সহ থাকে । এটি বিশিষ্ট কাঠামোযুক্ত এবং কোষের আয়তনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে । নিউক্লিয়াস জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে সেলুলার ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ডিএনএ প্রতিলিপি, প্রতিলিপি এবং আরএনএ প্রক্রিয়াকরণের মতো প্রক্রিয়াগুলিতে জড়িত । যদিও অন্যান্য কোষ অঙ্গাণু যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া বা এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, নির্দিষ্ট কোষে অপেক্ষাকৃত বড় হতে পারে কিন্তু নিউক্লিয়াস সাধারণত প্রাণী কোষের মধ্যে সবচেয়ে বড় কোষ অঙ্গাণু ।

== ””’প্রাণী কোষ বলতে কি বুঝায় ?””’ ==
প্রাণী কোষ প্রোক্যারিওটিক আদি কোষ প্রকৃতির । প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না । প্রাণী কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না ।  প্রাণী কোষগুলি জটিল কার্বোহাইড্রেট গ্লাইকোজেন আকারে শক্তি সঞ্চয় করে । প্রাণী কোষে কোষ গহবর থাকে না । প্রাণী কোষে লাইসোসোম এর পরিমান বেশি প্রাণী কোষ গুলো  সাধারণত গোলাকার বা অনিয়মিত আকারের হয় । প্রাণীকোষ গুলির দৈর্ঘ্য দশ থেকে ত্রিশ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয় । একটি আদর্শ প্রাণিকোষ বিভিন্ন রাইবোসোম, গলজি বস্তু, মাইটোকন্ডিয়া, এবং নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত । প্রাণীকোষের সঞ্চিত খাদ্য হলো গ্লাইকোজেন ।  এই কোষে কোষঝিল্লিতে মাইক্রোভিলাই থাকে । কিছু কিছু প্রাণিকোষে কোষগহ্বর থাকে যা আকারে ছোট হয় । প্রাণী কোষে প্লাস্টিড থাকে না ।

প্রাণী কোষে সাধারণত ছোট ভ্যাকুওল থাকে। প্রাণী কোষগুলি শ্বাস প্রশ্বাস, পুষ্টির শোষণ এবং কোষের বিভাজনের মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে জড়িত। প্রাণী কোষগুলি বিভিন্ন ধরনের কোষের উপাদান ধারণ করে যা নির্দিষ্ট কাজগুলি সম্পাদন করে । প্রাণিকোষে সাইটোকাইনেসিস রয়েছে সাইটোকাইনেসিস হলো সাইটোপ্লাজমের দুটি কন্যা কোষে বিভাজন । ইউকারিওটিসের কোষ চক্রের সময়, ক্যারিয়োকাইনেসিস এর পরে সাইটোকাইনেসিস হয়। এর অর্থ হলো যে নিউক্লিয়াসের বিভাগীয় বিভাগের সমাপ্তির পরে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে । তবে সাইটোকাইনেসিস বা সাইটোপ্লাজমের বিভাজন একইভাবে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর কোষে ঘটে না । প্রাণিকোষে সেন্ট্রোজোম ও সেন্ট্রিওল বিদ্যমান ।

== ””’প্রাণী কোষের প্রকারভেদ””’ ==

=== সেন্ট্রোজোম ===
সেন্ট্রোজোম হলো সেন্ট্রোস্ফিয়ারসহ সেন্ট্রিওল যেটাকে সেন্ট্রোজোম বলে । এটি প্রানি কোষের বৈশিষ্ট্য, প্রধানত প্রাণী কোষে এদের পাওয়া যায় তবে, নিম্ন শ্রেণির উদ্ভিদ কোষেও কদাচিৎ এদের দেখা যায় । ওয়াল্টার ফ্লেমিং ১৮৭৫ সালে এবং অ্যাদুয়ার্দো ভ্যান বেনডেন ১৮৭৬ সালে যৌথ ভাবে সেন্ট্রোজোম আবিষ্কার করেন এবং পরবর্তীতে থিওডোর বোভারি ১৮৮৮ সালে এর বর্ণনা ও নাম করণ করেন । প্রাণী কোষের নিউক্লিয়াসের কাছে দুটি ফাঁপা নলাকার বা দণ্ডাকার অঙ্গাণু দেখা যায়, তাদের সেন্ট্রিওল বলে । সেন্ট্রিওলের চারপাশে অবস্থিত গাঢ় তরলকে সেন্ট্রোস্ফিয়ার বলে । সেন্ট্রোজোমে থাকা সেন্ট্রিওল কোষ বিভাজনের সময় অ্যাস্টার রে তৈরি করে। এছাড়া স্পিন্ডল যন্ত্র বিভিন্ন ধরনের ফ্লাজেলা সৃষ্টিতে সেন্ট্রোজোমের অবদান রয়েছে।

=== সেন্ট্রিওল ===
সেন্ট্রিওল হলো প্রাণিকোষের নিউক্লিয় আবরণীর কাছাকাছি অবস্থিত বেলনাকৃতি বা দন্ডাকার ফাপা অণু নালিকা যুক্ত অঙ্গাণু । এটি একটি আবরণী বিহীন কোষাঙ্গাণু । সেন্ট্রিওল স্বচ্ছ দানাবিহীন যে অঞ্চলে বেষ্টিত থাকে তাকে সেন্ট্রোজোম বলে । ঘন ও নিরেট যে এলাকাটি একে বেষ্টন করে রাখে তার নাম সেন্ট্রোস্ফিয়ার। সেন্ট্রোস্ফিয়ার হতে কোষ বিভাজনের সময় এস্টার রে বিচ্ছুরণ হয়। ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞানী সেন্ট্রিওল আবিষ্কার করেন এবং ১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী  ভ্যান বেন্ডেন বোভেরী সেন্ট্রিওলের গঠন ও কাজের বর্ণনা দেন ও নামকরণ করেন। আদি সেন্ট্রিওল হতে সরাসরি বিভাজনের মাধ্যমে সেন্ট্রিওল উৎপত্তি হয়। স্নায়ুকোষ ব্যতীত প্রায় অন্য সকল কোষেই সেন্ট্রিওল দেখা যায়। সাধারণত প্রতি কোষে একটি সেন্ট্রোজোম দেখা যায় যা দুটি সেন্ট্রিওল ধারণ করে। অণুবীক্ষণ যন্ত্রে সেন্ট্রিওলকে দুমুখ খোলা পিপার মত দেখা যায়। এর দৈর্ঘ্য ৩০০ থেকে ৫০০ ন্যানোমিটার। প্রতিটি সেন্ট্রিওলে তিনটি অংশ বিদ্যমান । এ গুলো হলো ,  সিলিন্ডার প্রাচীর, ত্রয়ী অণুনালিকা এবং যোজক। প্রস্থচ্ছেদে প্রতি সেন্ট্রিওলে ৯টি অণুনালিকা দেখা যায়।  ঘন ও সন্নিবিষ্ট ৩টি উপনালিকা এক একটি ত্রয়ী গঠন করে। প্রতিটি ত্রয়ী পরস্পর সমদুরত্বে অবস্থিত এবং পরিধির সাথে ৩০ ডিগ্রি কোণ করে অবস্থান করে। উপনালিকাগুলোকে থ্রেডগোল্ড এ,বি,সি নামে চিহ্নিত করেছেন। এরা পার্শবর্তী নালিকার সাথে তন্তু দ্বারা যুক্ত থাকে। সেন্ট্রিওলে সাধারণত প্রোটিন লিপিড ও এ টি পি থাকে। এর অণুনালিকা গুলো টিবিউলিন নামক প্রোটিন দ্বারা গঠিত। তবে বর্তমানে এতে নিউক্লিক এসিডের সন্ধানপাওয়া গেছে।

সেন্ট্রিওল কোষ বিভাজনে সাহায্য করে। কোষ বিভাজনের সময় মাকুতন্তু গঠন করে। শুক্রানুর লেজ গঠনে বিশেষ সহায়তা করে। সিলিয়া ও ফ্লাজেলার বেসাল বডি হিসেবে কাজ করে। স্নায়ু কোষে এটি নিষ্ক্রিয়।  প্রাণিকোষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিউক্লিয়াস ও মাইটোকনড্রিয়া ।

=== ””’মাইটোকনড্রিয়া””’ ===
মাইটোকন্ড্রিয়া দ্বি স্তরবিশিষ্ট আবরণী  ঝিল্লি দ্বারা সীমিত সাইটোপ্লাজমস্থ যে অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় সেই অঙ্গাণুকে মাইট্রোকন্ডিয়া বলে।এটি এক প্রকার কোষীয় অঙ্গানু, যা সুকেন্দ্রিক  কোষে পাওয়া যায়।  মাইটোক‌ন্ড্রিয়াকে কোষের শ‌ক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস   বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়া বিভিন্ন  আকারের হতে পারে। একটি মাইটোকন্ড্রিয়ন ফসফোলিপিড বাইলেয়ার এবং প্রোটিন  দ্বারা গঠিত বাইরের ঝিল্লি  এবং ভিতরের ঝিল্লি ধারণ করে। দুটি ঝিল্লির আলাদা  বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

* বহিঃআবরন বা আউটার  মেমব্রেন

* ইন্টারমেমব্রেন স্পেস বাহ্যিক এবং  ভিতরের আবরনের মধ্যবর্তী স্থান,

* অন্তঃআবরন  বা ইনার মেমব্রেন। মাইটোকন্ড্রিয়া দুটি এককপর্দা দিয়ে  গঠিত,যাদের প্রত্যেকটির বেধ ৬০এ।  ভিতরেরটিকে অন্তঃআবরণী এবং বাইরেরটিকে বহিরাবরণী বলা হয়।  দুটি এককপর্দার মধ্যবর্তী স্থানকে পেরিমাইটোকন্ড্রিয়াল স্পেস ৬০-৯০এ বলে।  প্রতিটি এককপর্দা লাইপোপ্রোটিন এল পি এল নির্মিত।  অন্তঃপর্দা ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে যে বিভেদক প্রাচীর সৃষ্টি করে তাকে ক্রিস্টি  বলে।  অন্তঃপর্দার ভিতরে অর্ধতরল ধাত্র বা ম্যাট্রিক্স বর্তমান।এই ধাত্রে বিভিন্ন প্রকার উৎসেচক বর্তমান।  বহিঃপর্দার বহিঃগাত্রকে সি তল সিটপ্লাসমিক সারফেস এবং অভ্যন্তরীণ তলকে এম তল ম্যাট্রিক্স সারফেসবলে।  ক্রিস্টির গাত্রে অসংখ্য সবৃন্তক কণা বর্তমান,একে অক্সিজোম বা এফ ওয়ান বা ফার্নান্ডেজ মোরান অধঃএকক বলে।   প্রতিটি অক্সিজোম পরস্পর থেকে ১০০ এ দূরে থাকে।  বহিঃপর্দার বহিঃগাত্রে কিছু অবৃন্তক কণা বর্তমান,এদের পারসনের অধঃএকক বলে।  মাইটোকন্ড্রিয়ার ম্যাট্রিক্সে ৩ থেকে ৫টি চক্রাকার ডি এন এ বর্তমান,একে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডি এন এ বলে।  ম্যাট্রিক্সে মাঝেমাঝে গুচ্ছাকারে ৫৫ এস  প্রকৃতির। মাইটোকনড্রিয়া কাজ হলো সবাত শ্বসনের তৃতীয় পর্যায় ক্রেবস চক্র ও চতুর্থ পর্যায় ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইনের বিক্রিয়া সমূহ মাইটোকন্ড্রিয়াতে সংঘটিত হয়।  এর মাধ্যমে অণু সংশ্লেষ করে যা সকল শক্তির উৎস বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের  শক্তিঘর বা কোষের শক্তিঘর বলে।

=== নিউক্লিয়াস ===
নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা হলো প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ।যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস ৷ কোষ জীববিজ্ঞানে, নিউক্লিয়াস  হলো ইউক্যারিওটিক অর্থাৎ প্রকৃতকোষে পাওয়া একটি ঝিল্লি আবদ্ধ অঙ্গাণু। প্রকৃতকোষে সাধারণত একটি একক নিউক্লিয়াস থাকে। তবে কোষের ধরন অনুসারে ,যেমন স্তন্যপায়ীর লাল রক্তকণিকা ,লোহিত রক্তকণিকার কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না আবার অস্টিওক্লাস্ট সহ আরও কয়েক ধরনের কোষ বহুনিউক্লিয়াসবিশিষ্ট হয়ে থাকে।নিউক্লিয়াস তৈরির প্রধান কাঠামো হলো এর বহিঃপর্দা , এটি মুলত একটি দ্বিস্তরী মেমব্রেন বা পর্দা যা সমগ্র নিউক্লিয়াসটিকে ঘিরে রাখে এবং কোষীয় সাইটোপ্লাজম থেকে এর বিষয়বস্তুকে বিচ্ছিন্ন করে। এর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার, নলাকার, উপবৃত্তাকার, প্যাঁচানো থালার মত এবং শাখান্বিত হতে পারে ৷ রাসায়নিকভাবে নিউক্লিয়াস মূলত প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত। এতে অন্যান্য উপাদানও থাকে। যেমন প্রোটিন , আরএনএ, ডিএনএ । সিভকোষ বা লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না ৷  নিউক্লিয়াসে বংশগতির বৈশিষ্ট্য নিহিত ৷ এটি কোষে সংঘটিত বিপাকীয় কার্যাবলিসহ সব ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷

==== নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিও পর্দা ====
উচ্চমান সম্পন্ন মাইক্রোস্কোপ এ দৃশ্যমান নিউক্লিয়াস , নিউক্লিয়াস কে ঘিরে রাখে যে ঝিল্লি তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বলা হয় ৷ এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি ৷ এই  ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন এর সমন্বয়ে গঠিত ৷ এই  ঝিল্লীতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে, একে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র বলা হয় ৷ এই ছিদ্রের মাধ্যমে কেন্দ্রিকা এবং সাইটোপ্লাজম এর মধ্যে কিছু বস্তু চলাচল করে ৷ এই ঝিল্লী সাইটোপ্লাজম থেকে কেন্দ্রিকার অন্যান্য বস্তুকে পৃথক করে এবং বিভিন্ন বস্তুর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে  ৷

==== নিউক্লিওপ্লাজম ====
কেন্দ্রিকা ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু বা রসকে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে ৷ কেন্দ্রিকা রসে নিউক্লিক  অ্যাসিড , প্রোটিন , উৎসেচক, আরএনএ,বিভিন্ন এনজাইম, ডিএনএ পলিমারেজ, আরএনএ পলিমারেজ, নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফাটেজ, নিউক্লিওসাইড ফসফোরাইলেজ, কাই নেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ , এন্ডোনিউক্লয়েজ , আরএনপি দানা, অল্প পরিমাণে লিপিড ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে ৷

==== নিউক্লিওলাস ====
নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকার মধ্যে ক্রোমোজম এর সাথে লাগানো গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাণু বলে ৷১৭৮১ সালে বিজ্ঞানী ফনটানা সর্বপ্রথম নিউক্লিওলাস আবিষ্কার করেন। ক্রোমোজোমের রঙঅগ্রাহী অংশের সাথে এরা লেগে থাকে ৷ এরা RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত ৷ এরা নিউক্লিক অ্যাসিড মজুত করে ও প্রোটিন সংশ্লেষণ করে ৷ ক্রোমোজোমের যে স্থানে নিউক্লিওলাস সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় স্যাটেলাইট।

==== ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিও জালিকা ====
কোষের বিশ্রামকালে কেন্দ্রিকায় কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় অংশই হলো ক্রোমাটিন জালিকা ৷ কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা ক্রোমোজোম দেখা যায় ৷

== ””’প্রাণী কোষের জনক কে ?””’ ==
প্রাণী কোষ কোষ প্রণালীর একটি অংশ এর জনক হলো রবার্ট হুক।

১৬৬৫ সালে তার প্রকাশিত একটি গ্রন্থে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পর্যবেক্ষণকৃত কর্ক কোষের কথা উল্লেখ করেন। এই কোষের সাথে তিনি ধর্মীয় সাধু সন্ন্যাসীদের ঘরের তুলনা করেছিলেন। এ থেকেই জীবের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক ও কার্যকরী এককের নাম দিয়ে দেন সেল বা কোষ

Go to Source


Posted

in

by

Tags: