অঙ্গরাগ রায়:
[[রূপ গোস্বামী|রূপ গোস্বামীর]] ”'{{IAST|হংসদূত}}”’ (हंसदूत) রচিত হয়েছিল খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে। ”{{IAST|হংসদূতে}}” ভাবপ্রবণ এবং ধর্মীয় প্রেমকে একত্রিত করে এমন একটি কবিতা তৈরি করা হয়েছে যা ভগবান [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রতি প্রেমের তীব্রতার সাথে জ্বলজ্বল করে । এটি রচনা করেছিলেন [[রূপ গোস্বামী]]<nowiki/> যিনি তাঁর সমসাময়িক [[চৈতন্য মহাপ্রভু|চৈতন্য]] প্রতিষ্ঠিত [[গৌড়ীয় বৈষ্ণববাদ|গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের]] অন্যতম বিখ্যাত কবি ছিলেন। গৌড়ীয়রা ছিল [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] ভক্ত।”{{IAST|হংসদূতে}}” [[কৃষ্ণ]] [[বৃন্দাবন]] ত্যাগ করে [[মথুরা|মথুরার]] উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, তিনি অনেক গোপাঙ্গনাদের ত্যাগ করেছেন যারা তাকে পূজা করে। তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন [[রাধা]], এবং তিনি বিরক্ত। তার সখী ললিতা যমুনার তীরে একটি রাজহাঁসের সাথে দেখা করে এবং তাকে [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] কাছে একটি বার্তা নিতে অনুরোধ করে।সমস্ত দূতকেন্দ্রীক কবিতার মতো, এটিরও মূলভাব হলো বিরহ, প্রেমে বিচ্ছেদ। রমন্যাসের ইঙ্গিত কখনও দূরে নয়।”{{IAST|হংসদূতে}}” রাজহাঁসের যাত্রা তার ১৪২টি স্তবকের ৩৫টিতে সমাপ্ত হয়েছে, কারণ বৃন্দাবন থেকে মথুরা পর্যন্ত রাজহাঁসের জন্য দূরত্ব বেশ কম। ললিতার বার্তাটি কবিতাটির অর্ধেকেরও বেশি অংশ নেয়, এবং এক্ষেত্রে শোকার্ত প্রেমিকা [[রাধা|রাধার]] অবস্থার উপর আলোকপাত করে, যখন কৃষ্ণের প্রিয়তমার প্রশংসা করে - যদিও গোপী মেয়েদের ত্যাগ করার জন্য [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণকে]] তিরস্কার করা হয়।”{{IAST|হংসদূতে}}”, [[রূপ গোস্বামী]] বেশ কিছু শ্লেষালঙ্কার প্রয়োগ করেছেন যা [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] পৌরাণিক কাহিনিকে এখানে মিশ্রিত করার জন্য নিপুণভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
== বহিঃসংযোগ ==
*[http://www.claysanskritlibrary.org/ Clay Sanskrit Library] {{Webarchive|url=https://web.archive.org/web/20190707040843/http://www.claysanskritlibrary.org/ |date=2019-07-07 }} (official page)
[[বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃত কবিতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বৈষ্ণব সম্প্রদায়]]
Go to Source