AHMMED NASIM: হালনাগাদ করা হল
== ইতিহাস ==
[[চিত্র:সন্নাসতলী মেলা.jpg|থাম্ব|সন্নাসতলী মেলার ঘুড়ি উৎসব]]
জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার তুলসীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্নাসতলীর বটতলায় কোনো এককাল থেকে শুরু হয়েছিল ঘুড়ির মেলা। সেই ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছেন সন্নাসতলী এলাকার অন্তত ৪০ গ্রামের কয়েক সহস্রাধিক মানুষ। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মহব্বতপুর গ্রামের সন্নাসতলীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঘুড়ি উৎসব উপলক্ষে মেলা। এক দিনের এই মেলায় কোনো নোটিশেরও দরকার হয় না। মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীর এই ঐতিহ্যবাহী মেলায়। সন্নাসতলীর এই ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্নাস পূজা পালন করে। তাদের এই পূজা-অর্চনাকে ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি ঘটে। তবে এর গোড়া পত্তনের কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু এটুকু জানিয়েছেন, ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2011-06-12|ভাষা=bn|শিরোনাম={{!}} কালের কণ্ঠ|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/culture/2011/06/12/162020|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-10|ওয়েবসাইট=Kalerkantho}}</ref>
== মেলার সময়কাল ==
[[জ্যৈষ্ঠ]] মাসের শেষ [[শুক্রবার]] [[জয়পুরহাট জেলা|জয়পুরহাটের]] [[ক্ষেতলাল উপজেলা|ক্ষেতলাল উপজেলার]] [[তুলসীগঙ্গা নদী|তুলসীগঙ্গা নদীর]] অদূরে সন্নাসতলীর বটতলায় মেলা বসে । <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2011-06-12|ভাষা=bn|শিরোনাম={{!}} কালের কণ্ঠ|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/online/culture/2011/06/12/162020|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-10|ওয়েবসাইট=Kalerkantho}}</ref>
== কেনাকাটা ==
=== আসবাবপত্র ===
মেলায় কাঠের, স্টিল ও লোহার বিভিন্ন ডিজাইনের আসববাপত্র যেগুলো অনেক সূলভ মূল্যে পাওয়া যায়।
=== কসমেটিক ও গিফট সামগ্রী ===
মেলায় বিভন্ন জেলা হতে লোকজন উন্নতমানের [[প্রসাধন|কসমেটিক]], খেলনা, গিফট সামগ্রী এর দোকান দেয়। সাধারণত শিশু এবং মহিলাদের ভিড় লেগে থাকে। আছে চুড়ি, কানের দুল, মালা, কাজল, মেকাপ বক্স সহ সকল সাজার জিনিস। খেলনার মধ্যে থাকে ব্যাট, বল ভিডিও গেমস ইত্যাদি।
=== মিষ্টি ===
পোড়াদহ মেলার অন্যতম আকর্ষণ [[মিষ্টি]]। রসগোল্লা, সন্দেশ, [[জিলাপী]], নিমকি, তিলের নাড়ু, খই, শুকনা মিষ্টি। আরও আকর্ষণীয় হল বড় বড় আকারের মিষ্টি। একেকটি মিষ্টি দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়ে থাকে।
== বিনোদন ==
মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে। ছোটদের জন্য নাগড়দোলা, মিনি ট্রেন, ঘোড়ার গাড়ি, সার্কাস ইত্যাদি ও বড়দের জন্য রয়েছে মটর সাইকেল খেলা, যাত্রাপালা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
== তথ্যসূত্র ==