সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার

মোহাম্মদ জনি হোসেন: দ্রুত অপসারণের প্রস্তাবনা (দ্রুত নি৭)।

{{db-club|help=off}}
”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ একটি বেসরকারি গ্রন্থাগার যা সকলের জন্য উন্মুক্ত। এটি বাংলাদেশে অবস্থিত। ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ইং কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

গ্রন্থাগার জাতি গঠনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কারখানা আর বই তার উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক নানান সমস্যা সমাধান করা যায়। একজন পাঠক বই পড়ার মাধ্যমে স্বশিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি হয়ে উঠবে একজন আদর্শ মানুষ। একজন পাঠক ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ এর মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে একজন দক্ষ ও যোগ্য ব্যাক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। আদর্শ মানুষ গঠন-ই ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ এর অন্যতম লক্ষ্য।

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও সাহিত্যের প্রচার-প্রসার এর লক্ষ্যে ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।[https://www.ajkerpatrika.com/236257] স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে দুই হাজার বই ও ম্যাগাজিন আছে। শিক্ষা ছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’।[https://www.banglanews24.com/education/news/bd/1172302.details][https://www.amaderramu.com/89943/][https://theterritorialnews.com/4567/]

১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ইং ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ কক্সবাজার এর রামু উপজেলায় তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। [https://www.amaderramu.com/90794/]

শুরুতে খোলা জায়গায় পাঠচক্রের আয়োজন করা হতো। লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর জন্মদিন পালন করা হয় পাঠক আড্ডা ও বৃক্ষরোপণ করার মধ্য দিয়ে। মহান বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাইপাস বেদে পল্লীর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে গিয়ে তাদেরকে জানায় মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এর ইতিহাস। ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বইমেলার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে গ্রন্থাগারের সদস্যদের নিয়ে বইমেলা পরিদর্শন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নিরব কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারে”’ প্লাকার্ড টাঙানো হয়েছে।

”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ কে বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। পরিবেশ রক্ষায় সকলকে সচেতন করতে গ্রন্থাগারে বইয়ের সাথে ছোট ছোট গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও ব্যাংকনোট সংগ্রহ করে পাঠক ও দর্শনার্থীদের দেখার সুযোগ সৃষ্টি করবে ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’। প্রাচীন যে-কোন সামগ্রী সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ সংগ্রহশালায়। রামুর শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশের লক্ষ্যে গ্রন্থাগারে দাবা খেলার সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। বিতর্কচর্চার জন্য গঠন করা হবে বিতর্ক ক্লাব এবং বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ও গবেষণার চর্চা করার জন্য গঠন করা হবে বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র। ”’সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার”’ একদিন পরিণত হবে রামুর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম প্রধান প্রাণকেন্দ্রে।  

Go to Source


Posted

in

by

Tags: