আস-সারিম আল-মাসলুল আলা শাতিম আর-রাসুল

সাজিদ শরীফ:

”’আস-সারিম আল-মাসলুল ‘আলা শাতিম আর-রাসুল”’ অর্থ ”’যারা রাসুলকে অপমান করে তাদের বিরুদ্ধে টানা তরবারি”’ ( {{Lang-ar|الصارم المسلول على شاتم الرسول}} </link> ) হলো [[ইবনে তাইমিয়া]] কর্তৃক রচিত একটি [[আকিদা|ইসলামীক]] বই। ১২৯৪ সালে ইবনে তাইমিয়া যখন একজন খ্রিস্টান কর্তৃক ইসলামের নবী [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদকে]] <ref name=”IT”>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Islamic Theology, Philosophy and Law: Debating Ibn Taymiyya and Ibn Qayyim Al-Jawziyya|শেষাংশ=Tamer|প্রথমাংশ=Georges|শেষাংশ২=Krawietz|প্রথমাংশ২=Birgit|তারিখ=1 Sep 2012|প্রকাশক=Walter de Gruyter & Co|পাতা=194|আইএসবিএন=978-3110285345}}</ref> <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=ysB4DTRgh5sC&q=Al-Aqidah+Al-Wasithiyah+Ibnu+Taimiyah&pg=PA72|শিরোনাম=Saints and Saviours of Islam|শেষাংশ=Rafiabadi|প্রথমাংশ=Hamid Naseem|তারিখ=2005|প্রকাশক=Sarup & Sons|পাতা=72|ভাষা=en|আইএসবিএন=9788176255554|সংগ্রহের-তারিখ=13 November 2019}}</ref> অপমান করতে শুনেন <ref>[https://www.goodreads.com/book/show/6720118 goodreads – كتاب الصارم المسلول] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160305081931/https://www.goodreads.com/book/show/6720118|তারিখ=05 مارس 2016}}</ref> তখন এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বইটি লেখেন।

১২৯৩ সালে তৎকালীন ইসলামিক শাসক,ইবনে তাইমিয়াকে আসাফ আল-নাসরানি নামক একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজকের উপর [[ফতোয়া]] (আইনি রায়) জারি করতে বলেন। উক্ত খ্রিস্টান ধর্মযাজক মুহাম্মদকে অপমান করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন। <ref name=”:3″>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Crusades: Islamic Perspectives|শেষাংশ=Hillenbrand|প্রথমাংশ=Carole|বছর=1999|প্রকাশক=Edinburgh University Press|পাতাসমূহ=242|আইএসবিএন=978-0-7486-0630-6}}</ref> <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=slam and Inter-Faith Relations: The Gerald Weisfeld Lectures 2006|শেষাংশ=Schmidt-Leukel|প্রথমাংশ=Perry|বছর=2007|প্রকাশক=SCM Press|পাতাসমূহ=125|আইএসবিএন=978-0-334-04132-0}}</ref> ইবনে তাইমিয়া আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং তার ফতোয়া প্রদান করেন। লোকটিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানান। <ref name=”:3″ /> ইবনে তাইমিয়ার পক্ষে জনমত অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও, [[সিরিয়া (অঞ্চল)|সিরিয়ার]] গভর্নর আসাফকে তার জীবনের বিনিময়ে [[ইসলাম]] গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু এই পদ্ধতি ইবনে তাইমিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। যিনি তখন তার অনুসারীদের নিয়ে গভর্নরের প্রাসাদের বাইরে আসাফকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদ করেছিলেন, এই ভিত্তিতে যে কোনো ব্যক্তি-মুসলিম বা অমুসলিম-যে মুহাম্মদকে অপমান করবে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। গভর্নরের ক্রিয়াকলাপের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ করার প্রচেষ্টার সাথে আপোষ করতে এই অনিচ্ছুকতার ফলে তাকে কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের অনেক কারাদণ্ডের মধ্যে এটিই প্রথম। এই কারাবাসের সময় ইবনে তাইমিয়া তাঁর প্রথম মহান কাজ লিখেছিলেন, ”আল-সারিম আল-মাসলুল আলা সাহাতিম আল-রাসূল (যারা রাসুলকে অবমাননা করে তাদের বিরুদ্ধে টানা তলোয়ার)।” ” ইবনে তাইমিয়া তার শিষ্যদের সহায়তায় একসাথে চালিয়ে যান। কিসের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা, “তিনি অনৈসলামিক প্রথা বলে মনে করতেন” এবং যাকে তিনি তাঁর ধর্মীয় কর্তব্য হিসাবে [[সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ|ভাল আদেশ এবং অন্যায় নিষেধ হিসাবে]] দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে। <ref name=”:19″>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Ibn Taymiyya and His Times|শেষাংশ=Rapoport|প্রথমাংশ=Yossef|শেষাংশ২=Ahmed|প্রথমাংশ২=Shahab|বছর=2010|প্রকাশক=Oxford University Press|অধ্যায়=Introduction|আইএসবিএন=978-0-19-547834-1}}</ref>

== আরও দেখুন ==

* [[সুন্নি গ্রন্থের তালিকা|সুন্নি বইয়ের তালিকা]]

== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি ধর্মতত্ত্ব বই]]
[[বিষয়শ্রেণী:সুন্নি সাহিত্য]]

Go to Source


Posted

in

by

Tags: