পেরিয়া তিরুমলি

অঙ্গরাগ রায়: /* স্তবগীতি */

{{তথ্যছক ধর্মীয় পাঠ্য|religion=[[হিন্দুধর্ম]]|author=[[তিরুমঙ্গাই আলবার]]|language=[[তামিল ভাষা|তামিল]]|caption=চিত্রে উপগীত বিষ্ণুর মৎস্য অবতার|image=File:Recto- Matsya, the Fish avatar of Vishnu verso- Diagram of a Vishnu Temple (6124602537).jpg|verses=১,০৮৪|period=খ্রিস্টাব্দ ৯ম-১০ম শতাব্দী|name=পেরিয়া তিরুমলি|previous=কান্নিনুন চিরুটাম্পু|next=তিরুক্কুরুনতান্তকম}}””’পেরিয়া তিরুমলি””’ ( {{Lang-ta|பெரிய திருமொழி|lit=মহান্ পবিত্র শ্লোকাবলী|translit=Periya Tirumoḻi}} ) হলো [[তামিল ভাষা|তামিল]] [[হিন্দু ধর্মগ্রন্থ|হিন্দু সাহিত্য]]<nowiki/>কার্য যা ১,০৮৪টি স্তোত্র সমন্বিত। এর রচয়িতা কবি-সাধক [[তিরুমঙ্গাই আলবার|তিরুমঙ্গাই আলবর]]। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=IMCxbOezDi4C&dq=Periya+Tirumoli&pg=PA598|শিরোনাম=The Body of God: An Emperor’s Palace for Krishna in Eighth-Century Kanchipuram|শেষাংশ=Hudson|প্রথমাংশ=D. Dennis|তারিখ=2008-09-25|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=598|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-19-970902-1}}</ref> এটি [[অলবর|আলবরগণের]] স্তোত্রের সংকলন [[নালাইরা দিব্য প্রবন্ধ|”নালায়রা দিব্য প্রবন্ধম”]]-এর অন্তর্ভুক্ত। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=8TwHhuZrZ-wC&dq=Periya+Tirumoli&pg=PA30|শিরোনাম=Philosophy and Theistic Mysticism of the Āl̲vārs|শেষাংশ=Chari|প্রথমাংশ=S. M. Srinivasa|তারিখ=1997|প্রকাশক=Motilal Banarsidass Publ.|পাতাসমূহ=30|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-81-208-1342-7}}</ref> <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=7RW6MrAiJ-0C&dq=Periya+Tirumoli&pg=PA266|শিরোনাম=Questioning Ramayanas: A South Asian Tradition|শেষাংশ=Richman|প্রথমাংশ=Paula|তারিখ=2001|প্রকাশক=University of California Press|পাতাসমূহ=266|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-520-22074-4}}</ref>

== বিষয়বস্তু ==

[[শ্রী বৈষ্ণবধর্ম|শ্রী বৈষ্ণব]] ঐতিহ্য অনুসারে, তিরুমঙ্গাই আলবর তার পত্নী কুমুদাবল্লীর প্রভাবে [[বৈষ্ণব সম্প্রদায়|বৈষ্ণব]] ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। যারা তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিল তাদের সকলের ভরণপোষণের জন্য তিনি ধনী ব্যক্তিদের উপর ডাকাতির পথ অবলম্বন করেছিলেন। একবার তিনি বিবাহ অনুষ্ঠানে ডাকাতির চেষ্টা করেছিলেন। বিয়েতে কনে [[আণ্ডাল|অন্ডাল]] ও রঙ্গনাথ বর ছিলেন। তিনি তা জানতেন না। বরের পায়ের আঙুলের সুন্দর আংটিটি সরাতে না পেরে তিনি মাথা নিচু করে পায়ে কামড় দিতে উদ্যত হলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারলেন চরণগুলি ঐশ্বরিক এবং স্বয়ং [[বিষ্ণু|বিষ্ণুর]] । তিনি ডাকাতি ত্যাগ করেন এবং দেবতার [[ওঁ নমঃ নারায়ণায়|নারায়ণ মন্ত্র]] শেখার পরে দেবতার প্রশংসাসূচক ”পেরিয়া তিরুমলি” রচনা করেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=DH0vmD8ghdMC&dq=Tirukkuruntantakam+tamil&pg=PA417|শিরোনাম=Hinduism: An Alphabetical Guide|শেষাংশ=Dalal|প্রথমাংশ=Roshen|তারিখ=2010|প্রকাশক=Penguin Books India|পাতাসমূহ=417|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-14-341421-6}}</ref>
[[File:Tirumangai_aalwar.jpg|থাম্ব|তিরুমাঙ্গাইয়ের মূর্তি]]
”পেরিয়া তিরুমলির” প্রথম দশটি শ্লোক বর্ণনা করে যে [[ওঁ নমঃ নারায়ণায়|নারায়ণ মন্ত্রের]] প্রভাবে তিরুমঙ্গাই কীভাবে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। [[শ্রী বৈষ্ণবধর্ম|শ্রী বৈষ্ণবধর্মের]] ঐতিহ্যে এই মন্ত্র [[বেদ|বেদের]] সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যরূপে স্বীকৃত হয়েছে। ”পেরিয়া তিরুমলি” হল তিরুমঙ্গাই আল্বরের শ্রেষ্ঠ রচনা, এটি ভক্তিমূলক শ্লোকসংকলনের মাঝে শ্রেষ্ঠ যা বেশ কয়েকটি বৈষ্ণব মন্দিরের মাহাত্ম্য, এবং একজন [[ভক্তি]] সাধকের অনুভুত ভগবানের শুভ গুণাবলীর বর্ণনা করে। এতে এমন স্তোত্র রয়েছে যা মানুষের বন্ধনজনিত দুঃখকষ্ট ও এই প্রকার অবস্থাকে অতিক্রম করার উপায়গুলি অন্বেষণ করে, শেষ পর্যন্ত [[ব্রহ্ম|পরম গন্তব্য]] অর্জনের দিকে পরিচালিত করে। [[বেদান্ত দেশিক]] বলেন, ” ”পেরিয়া তিরুমলি” অধ্যাত্ম জ্ঞানের গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। ( ”আরিভু তরুম পেরিয়া তিরুমলি” )।” <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=8TwHhuZrZ-wC&dq=periya+tirumoli&pg=PA30|শিরোনাম=Philosophy and Theistic Mysticism of the Āl̲vārs|শেষাংশ=Chari|প্রথমাংশ=S. M. Srinivasa|তারিখ=1997|প্রকাশক=Motilal Banarsidass Publ.|পাতাসমূহ=30|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-81-208-1342-7}}</ref>

== স্তবগীতি ==

তিরুমঙ্গাই এই শ্লোকের মাধ্যমে [[বিষ্ণু|বিষ্ণুর]] [[মৎস্য]] অবতারের বর্ণনা করেছেন: <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=TRtREAAAQBAJ&dq=periya+tirumoli&pg=PA200|শিরোনাম=Krishna: A Sourcebook|শেষাংশ=Bryant|প্রথমাংশ=Edwin F.|তারিখ=2007-06-18|প্রকাশক=Oxford University Press|পাতাসমূহ=200|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-0-19-028756-6}}</ref>{{উক্তি|text=যখন সংসার প্রলয় জলে ডুবে ছিল তখন দেবগণও ভয় পেয়েছিলেন। তারা বিনীতভাবে বললেন ‘ হে আমাদের নাথ! একমাত্র আশ্রয়! স্রষ্টা! আমাদের স্থান প্রদান করুন। প্রভু গভীর সমুদ্রে মৎস্য রূপে আনন্দে সন্তরণ করছেন এবং নিজের উদরে পর্বতপ্রমাণ পাথর আকর্ষণ করছেন। হে মন! অবতারের প্রশস্তি গান করো, থেমো না। |source=পেরিয়া তিরুমলি, ১১/৪/১}}কবি এই পাঠ্যে ”তানিয়ান” (বিচ্ছিন্ন শ্লোক)ও লিখেছেন: একটি মশাল হৃদয় থেকে অন্ধকার/অজ্ঞানতা দূর করে, তা বিষের বিরুদ্ধে উত্তম অমৃত ( ”নাকুক্কু” ) এবং অবিরাম পুনর্জন্ম রোধ করে ( ”ațankā nețum pirati”, lit. অ-সংকুচিত দীর্ঘ জন্ম), সাহিত্য/উদাহরণ পাঁচটি [তা হল] শ্রেষ্ট তামিল গ্রন্থ ( ”তুরাইকাল” ), ”আরাম” [অর্থাৎ ”বেদ” ] এর সারমর্ম, অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ( ”অ্যানালিন পোরি” ) যা জ্বলতে থাকে (আলো দেওয়ার জন্য আলোকিত) ) এবং অন্যান্য চিন্তাসূত্র (p ”aracamaya-p-pancukku” ): [এগুলি] পারকালানের গ্রন্থ [অর্থাৎ তিরুমানকাই আলবর)। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=gV48EAAAQBAJ&dq=periya+tirumoli&pg=PT275|শিরোনাম=Education Materialised: Reconstructing Teaching and Learning Contexts through Manuscripts|শেষাংশ=Brinkmann|প্রথমাংশ=Stefanie|শেষাংশ২=Ciotti|প্রথমাংশ২=Giovanni|তারিখ=2021-07-05|প্রকাশক=Walter de Gruyter GmbH & Co KG|ভাষা=en|অন্যান্য=Section 3.3|আইএসবিএন=978-3-11-074117-9}}</ref>

== আরও দেখুন ==
* ”[[তিরুনেতুনতান্তকম]]”
* ”[[তিরুক্কুরুনতান্তকম]]”
* ”[[পেরুমল তিরুমলি]]”
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}

[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু বৈষ্ণব পুঁথি]]
[[বিষয়শ্রেণী:তামিল সাহিত্য গ্রন্থ]]
[[বিষয়শ্রেণী:তামিল ভাষা সাহিত্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:নালাইরা দিব্য প্রবন্ধ]]

Go to Source