আন লুইলিয়ে

Zaheen: /* নোবেল পুরস্কার বিজয় */ সংশোধন

{{কাজ চলছে}}
{{Infobox scientist
| name = আন লুইলিয়ে
| birth_date = {{birth date and age|1958|08|16}}
| nationality = ফরাসি
| awards =
* পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০২৩)
* ওলফ পুরস্কার (২০২২)
* বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ার্স অভ নলেজ পুরস্কার (২০২২)
* কার্ল-সাইস গবেষণা পুরস্কার (২০১৩)
* ব্লেজ পাস্কাল পদক (২০১৩)
* ইউনেস্কো লোরেয়াল পুরস্কার (২০১১)
* ইউলিউস ষ্প্রিঙার পুরস্কার (২০০৩)
| image = Anne LHuiller 01.JPG
| fields = [[পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান]], [[পরীক্ষাভিত্তিক পদার্থবিজ্ঞান]], [[অ্যাটোসেকেন্ড পদার্থবিজ্ঞান]]
| thesis_url = https://www.theses.fr/1986PA066268
| thesis_title = ”ইওনিজাসিওঁ মুলতিফোনিক এ মুলতিএলেকত্রোনিক” (”Ionisation multiphotonique et multielectronique”, বহু-ফোটনবিশিষ্ট ও বহু-ইলেকট্রনবিশিষ্ট আয়নীভবন)
| thesis_year = ১৯৮৬
| doctoral_advisor = {{Ill|বের্নার কাইনিয়াক|fr}} <!–Bernard Cagnac–>
| alma_mater = [[সর্বন বিশ্ববিদ্যালয়]]; [[পারি-সাক্লে বিশ্ববিদ্যালয়]] (ডক্টরেট)
}}
”’আন লুইলিয়ে”’ ({{lang-fr|Anne L’Huillier}}; জন্ম ১৯৫৮, প্যারিস) একজন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী ও সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাটোসেকেন্ড গবেষক দলটির নেতৃত্ব দান করছেন। দলটি বাস্তব সময়ে ইলেকট্রন কণার গতি অধ্যয়ন করে, যেটিকে ব্যবহার করে পারমাণবিক স্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়াসমূহ অনুধাবন করা সম্ভব।<ref>{{Cite web |title=Carl Zeiss Research Award |url=https://www.zeiss.com/corporate/int/innovation-and-technology/research-award-winners.html |url-status=dead |archive-url=https://web.archive.org/web/20170219003440/https://www.zeiss.com/corporate/int/innovation-and-technology/research-award-winners.html |archive-date=2017-02-19 |access-date=2017-04-29 |website=ZEISS International |language=en}}</ref> ২০০৩ সালে তিনি ও তাঁর গবেষক দল ১৭০ অ্যাটোসেকেন্ড মাপের আলোক স্পন্দন সৃষ্টি করে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এরূপ স্পন্দনের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন।<ref>{{Cite book |title=Fysik i Lund: i tid och rum |publisher=Fysiska institutionen i samarbete med Gidlunds förlag |year=2016 |isbn=9789178449729 |editor-last=Forkman |editor-first=Bengt |location=Lund |pages=371, 374 |language=sv |editor-last2=Holmin Verdozzi |editor-first2=Kristina}}</ref> ২০২৩ সালে তিনি যৌথভাবে [[পিয়ের আগোস্তিনি]] ও [[ফেরেনৎস ক্রাউস|ফেরেনৎস ক্রাউসের]] সাথে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।<ref name=”davis-2023″>
{{cite news
| last1 = Davis | first1 = Nicola
| title = Nobel prize in physics awarded to three scientists for work on electrons
| date = 3 October 2023
| work = The Guardian
| location = London, United Kingdom
| issn = 0261-3077
| url = https://www.theguardian.com/science/2023/oct/03/nobel-prize-in-physics-awarded-to-three-scientists-for-work-on-electrons
| access-date = 2023-10-03
}}
</ref>

==নোবেল পুরস্কার বিজয়==
অণু-পরমাণুর মাপনীতে ইলেকট্রনের গতিবেগ এত দ্রুত যে এক অ্যাটোসেকেন্ডের কয়েক দশমাংশের মধ্যে ইলেকট্রনের গতি বা শক্তির পরিবর্তন ঘটতে পারে। এক অ্যাটোসেকেন্ড হল এক সেকেন্ডের দশ লক্ষ লক্ষ কোটি ভাগের একভাগ। অন্য ভাষায় বললে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের জন্ম থেকে অদ্যাবধি যত সেকেন্ড অতিবাহিত হয়েছে, এক সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ততগুলি অ্যাটোসেকেন্ড আছে।<ref name=Nobel>{{Cite web |url=https://www.nobelprize.org/prizes/physics/2023/press-release/ |access-date=3 October 2023 |website=Nobelprize.org |title=The Nobel Prize in Physics 2023: Press release}}</ref>

পিয়ের আগোস্তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবসরোত্তর সাম্মানিক (ইমেরিটাস) অধ্যাপক। ফেরেনৎস ক্রাউস জার্মানির কোয়ান্টাম আলোকবিজ্ঞান বিষয়ে মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের পরিচালক। আন লুইলিয়ে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। আগোস্তিনি, লুইলিয়ে ও ক্রাউসের পরীক্ষাগুলি এত হ্রস্ব দৈর্ঘ্যের আলোক স্পন্দন সৃষ্টি করতে পেরেছে, যে এই স্পন্দনগুলি ব্যবহার করে পরমাণু ও অণুর অভ্যন্তরের অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলমান ইলেকট্রনগুলির চটজলদি চিত্র (snapshot) তুলে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগুলি উদ্ঘাটন করা সম্ভব।<ref name=Nobel/>

১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে আন লুইলিয়ে একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্য দিয়ে অবলোহিত লেজার রশ্মি চালনা করার সময় আবিষ্কার করেন যে আলোকরশ্মিটির কম্পাঙ্ক বর্ণালীতে বহু বিভিন্ন “অধিস্বরের” (overtone) উদয় হয়। প্রতিটি অধিস্বর লেজার আলোকরশ্মির প্রতিটি চক্রের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক চক্রবিশিষ্ট একটি আলোকরশ্মির প্রতিনিধিত্ব করে। গ্যাসের ভেতরের পরমাণুগুলির সাথে লেজার আলোকরশ্মির আন্তঃক্রিয়ার কারণে এগুলির সৃষ্টি হয়। লেজার আলোকরশ্মিটি কিছু ইলেকট্রনকে অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করে, যা পরবর্তীতে আলোকরশ্মি আকারে নিঃসৃত হয়। আন লুইলিয়ে এই ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখেন। ২০০১ সালে পিয়ের আগোস্তিনি পরপর-ঘটমান আলোক স্পন্দনের একটি ধারা উৎপাদন করতে ও সেগুলির উপর অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম হন। প্রতিটি স্পন্দন মাত্র ২৫০ অ্যাটোসেকেন্ড স্থায়ী ছিল। একই সময়ে ফেরেনৎস ক্রাউস আরেক ধরনের পরীক্ষা নিয়ে কাজ করছিলেন, যার ফলে ৬৫০ অ্যাটোসেকেন্ড স্থায়ী একটি মাত্র আলোক স্পন্দনকে পৃথক করা সম্ভব হয়।<ref name=Nobel/>

এই তিন বিজ্ঞানীর অবদানের ফলে এমন সব অত্যন্ত দ্রুত প্রক্রিয়া নিয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালানো সম্ভবপর হয়েছে, যা অতীতে অসম্ভব ছিল। তাদের গবেষণার কারণে মানবজাতির সম্মুখে ইলেকট্রনদের বিশ্বের দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে। অ্যাটোসেকেন্ড পদার্থবিজ্ঞানের সুবাদে বিজ্ঞানীর আজ ইলেকট্রন-শাসিত কর্মপদ্ধতিগুলি অনুধাবনের সুযোগ পেয়েছেন। এই গবেষণার সম্ভাব্য প্রয়োগের মধ্যে আছে ইলেকট্রনবিজ্ঞানে (ইলেকট্রনিক্স) কীভাবে উপাদান পদার্থের মধ্যে ইলেকট্রনগুলি আচরণ করে ও কীভাবে সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন অণু শনাক্ত করা যেতে পারে, যেগুলি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক রোগনির্ণয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।<ref name=Nobel/>

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}

{{২০২৩ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী}}
{{নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী}}

[[বিষয়শ্রেণী:ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী]]
[[বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী]]

Go to Source


Posted

in

by

Tags: