শেখ মুজিবুর রহমান

শেখ মুজিবুর রহমান প্রায়শই শেখ মুজিব বা মুজিব হিসাবে সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং ব্যাপকভাবে বঙ্গবন্ধু নামে পরিচিত ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা যিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

1971 সালের এপ্রিল থেকে 1975 সালের আগস্টে তার হত্যা পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সফল অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব মুজিবকে দেওয়া হয়। তিনি বাংলাদেশে “বঙ্গবন্ধু” (বঙ্গবন্ধু “বাংলার বন্ধু”) সম্মানসূচক উপাধি দিয়ে সম্মানিত হন যা বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হয়। তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং চূড়ান্ত নেতা ছিলেন, যেটি 1949 সালে পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তান-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মুজিবকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন লাভের প্রচেষ্টায় এবং পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পিছনে কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই, তাকে “জাতির জনক” বা “জাতির জনক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের “জাতির পিতা” (জাতির জনক বা জাতীর পিতা, উভয়ের অর্থ “জাতির পিতা”)। তার কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের বর্তমান নেত্রী এবং বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে শেখ মুজিবুর রহমানSheikh Mujibur Rahman in 1950.jpg
জন্ম১৭ মার্চ ১৯২০
টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ মহকুমা, ফরিদপুর জেলা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৫ আগস্ট ১৯৭৫ (বয়স ৫৫)[১]
নিজস্ব বাসভবন, ৩২ নং সড়ক, ধানমন্ডি, ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যুর কারণগুপ্তহত্যা
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯২০–১৯৪৭)
পাকিস্তান (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশ (১৯৭১–১৯৭৫)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (১৯৭৫)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে)
আওয়ামী লীগ (১৯৪৯–১৯৭৫)
দাম্পত্য সঙ্গীবেগম ফজিলাতুন্নেসা
সন্তানশেখ হাসিনা
শেখ কামাল
শেখ জামাল
শেখ রেহানা
শেখ রাসেল
মাতাসায়েরা খাতুন
পিতাশেখ লুৎফুর রহমান
আত্মীয়স্বজনশেখ-ওয়াজেদ পরিবার
প্রাক্তন শিক্ষার্থীইসলামিয়া কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারজুলিও ক্যুরি শান্তি পুরস্কার (১৯৭৩)
স্বাধীনতা পুরস্কার (২০০৩)
গান্ধী শান্তি পুরস্কার (২০২০)