Aishik Rehman:
হাতপাখা হচ্ছে গরমে বিশেষত গ্রীষ্মকালে প্রশান্তির জন্য ব্যবহৃত হাতে চালিত পাখা। এটি বাংলাসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি অংশ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Bangla|প্রথমাংশ=Aparajeo|ভাষা=en|শিরোনাম=তালপাতার হাতপাখায় জীবনগাঁথা…পুঁজি সঙ্কটই বড় বাধা|ইউআরএল=https://www.aparajeobangla.com/news/news/6972|সংগ্রহের-তারিখ=2022-10-12|ওয়েবসাইট=Aparajeo Bangla}}</ref><ref name=”:0″>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=পারভেজ|প্রথমাংশ=আনোয়ার|ভাষা=bn|শিরোনাম=কাহালুর হাতপাখা ব্যবসায় বৈশাখী হাওয়া|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/কাহালুর-হাতপাখা-ব্যবসায়-বৈশাখী-হাওয়া|সংগ্রহের-তারিখ=2022-10-12|ওয়েবসাইট=Prothomalo}}</ref>
== ইতিহাস ==
হাতপাখা তৈরি ও ব্যবহারের ইতিহাস বহু প্রাচীন। প্রায় তিন হাজার বছর গ্রিক-রােমান যুগেও হাতপাখার প্রচলন ছিল। তৎকালীন রাজাদের সিংহাসনের দুই পাশে ময়ূরের পালক বা রেশমি কাপড়ের তৈরি পাখা হাতে ডানে-বাঁয়ে দাঁড়িয়ে বাতাস করার প্রচলন ছিল।অনেকেই শৌখিন বেশে কাছারিঘরে ছাদ বরাবর কড়িকাঠে ঝাুলিয়ে রাখতেন। এই ধরণের বড় হাতপাখা কাপড়ের তৈরি ছিল যা রশি টেনে চালানাে হতো।
== বৈশিষ্ট্য ==
প্রাচীন সময়ে বেত, বাঁশ, তালগাছের ডাল, তালের পাতা বা কাপড় দিয়ে হাতপাখা তৈরি করা হলেও আধুনিক সময়ে প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি হাতপাখা পাওয়া যায়। এসব হাতপাখাতে বিভিন্ন কারুকাজও করা হয়ে থাকে যা নকশি পাখা নামে পরিচিত<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=bn|শিরোনাম=নকশি পাখা – বাংলাপিডিয়া|ইউআরএল=https://bn.banglapedia.org/index.php/%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BF_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE|সংগ্রহের-তারিখ=2022-10-12|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org}}</ref> এবং অনেকটা নকশিকাঁথার মতাে। তবে পাখার ক্ষেত্রফল কম হওয়ায় সেখানে বিস্তৃত কারুকাজের সুযােগ কম। তবে সুতা দিয়ে পাখার গায়ে পাখি, ফুল, লতাপাতা, কারও মানুষের নাম অথবা চিহ্ন ফুটিয়ে তােলা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে ময়মনসিংহ, নরসিংদী, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় হাতপাখা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়। শীতের মাঝামাঝি সময়ে তালপাতার পাখা তৈরির কাজ শুরু হয়ে থাকে যা গ্রীষ্ম পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
== উপকরণ ও বুননশৈলী ==
তালপাতা বা বাঁশ, বাঁশের কঞ্চি ও সুই-সুতা হলাে হাতপাখার উপকরণ। প্রথমে তিন-চার ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে অথবা রোদে রাখা হয় পাতা। তারপর সেই পাতাকে সুবিধামত আকারে কাটা, সরু লম্বা কাঠি দিয়ে বাঁধা, রং করা প্রভৃতি পর্বের মধ্য দিয়ে পাখা তৈরি হয়। কেবল তালপাতা দিয়েও পাখা তৈরি করা যায় এতে অতিরিক্ত হিসেবে কেবল সুতার প্রয়োজন হতে পারে যদিও সুতা ছাড়াও তালপাতার পাখা তৈরি সম্ভব। একটি তালপাতা থেকে একাধিক পাখা তৈরি করা যায়। বর্তমানে তালগাছ কমে আসার ও সর্বত্র বিদ্যুতের সরবরাহ থাকায় এর উৎপাদন কমে গিয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=bn|শিরোনাম=হাতপাখার নেশায় ৫৭ বছর|ইউআরএল=https://www.newsbangla24.com/news/187540/Life-goes-hand-in-hand|সংগ্রহের-তারিখ=2022-10-12|ওয়েবসাইট=Newsbangla24}}</ref> তবে আধুনিক সময়ে প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখাও পাওয়া যায় যা সাধারণত কলের তৈরি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=en|শিরোনাম=হাতপাখার সাতকাহন|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/little-talk/549584/হাতপাখার-সাতকাহন|সংগ্রহের-তারিখ=2022-10-12|ওয়েবসাইট=Jugantor}}</ref><ref name=”:0″ />
== তথ্যসুত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}