Mehediabedin:
| name = আবদুল হাফিজ পীরজাদা <br />{{Nastaliq|عبدالحفیظ پیرزادہ}}
| honorific_suffix =
| image = আদালতে আবদুল হাফিজ পীরজাদা.jpg
| width =
| smallimage = <!–If this is specified, “image” should not be.–>
| alt =
| caption =
| order = ১২তম [[অর্থমন্ত্রী (পাকিস্তান)|অর্থ, রাজস্ব ও অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী]]
| office =
| termstart = ৩০ মার্চ ১৯৭৭
| termend = ৫ জুলাই ১৯৭
| alongside = <!–For two or more people serving in the same position from the same district. (e.g. United States Senators.)–>
| vicepresident =
| viceprimeminister =
| deputy =
| lieutenant =
| monarch =
| president = ফজল ইলাহি চৌধুরী
| primeminister = [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]]
| taoiseach =
| chancellor =
| governor =
| governor-general =
| succeeding = <!–For President-elect or equivalent–>
| predecessor = [[রানা মোহাম্মাদ হানিফ খান|রানা হানিফ খান]]
| successor = [[গোলাম ইসহাক খান]]
| constituency =
| majority =
| order2 = [[আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় (পাকিস্তান)|আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী]]
| office2 =
| termstart2 = ১৪ আগস্ট ১৯৭৩
| termend2 = ৩০ মার্চ ১৯৭৭
| alongside2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| vicepresident2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| viceprimeminister2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| deputy2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| lieutenant2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| monarch2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| president2 = ফজল ইলাহি চৌধুরী
| primeminister2 = [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]]
| governor2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| succeeding2 = <!–Can be repeated up to eight times by changing the number–>
| predecessor2 = [[মাহমুদ আলী কাসুরি]]
| successor2 = [[শরীফউদ্দিন পীরজাদা]]
| birth_date = {{birth date|1935|2|24|df=y}}
| birth_place = [[সুক্কুর]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
| death_date = {{death date and age|2015|9|1|1935|2|24|df=y}}
| death_place = [[রেডিং]], [[বার্কশায়ার]], [[ইংল্যান্ড]], [[যুক্তরাজ্য]]
| resting_place = সুক্কুর, পাকিস্তান
| resting_place_coordinates =
| birth_name =
| party = [[পাকিস্তান পিপলস পার্টি]]<br /><small>(১৯৬৮–১৯৮০)</small>
| spouse =
| partner = <!–For those with a domestic partner and not married–>
| relations =
| children =
| residence =
| alma_mater =
| occupation = [[আইনজীবী]]
| cabinet =
| committees =
| portfolio =
| signature =
| signature_alt =
| website =
| footnotes =
| blank1 =
| data1 =
}}
”’আবদুল হাফিজ পীরজাদা”’ ({{Lang-ur|{{Nastaliq| عبدالحفیظ پیرزادہ}}}}; ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৫ – ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫) ছিলেন একজন পাকিস্তানি আইনজীবী, আইনতাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদ, যিনি ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত [[পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]] ও [[পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী|প্রধানমন্ত্রী]] [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]]র অধীনে তথ্য মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে বিভিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনমন্ত্রী হিসেবে তিনি ১৯৭৩ সালে পাস করা [[পাকিস্তানের সংবিধান|পাকিস্তানের সংবিধানের]] একজন প্রধান খসড়া লেখক হিসেবে কৃতিত্ব লাভ করেন।
[[লিংকনস্ ইন|লিংকনস্ ইনে]] ব্যারিস্টার হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পীরজাদা [[পাকিস্তান পিপলস পার্টি]]র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের নির্বাচনে]] [[পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ|জাতীয় পরিষদে]] নির্বাচিত হয়ে ভুট্টো সরকারে বেশ কয়েকটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে জেনারেল [[মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক|জিয়া-উল-হক]] কর্তৃক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে পীরজাদা ভুট্টোকে হত্যার অপরাধমূলক বিচারে তার প্রতিরক্ষায় ব্যর্থভাবে সহায়তা করেন। জিয়া শাসনামলে কারারুদ্ধ হওয়ার আগে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে পিপিপির নেতৃত্ব দেন, অবশেষে [[বেনজীর ভুট্টো]]র সাথে মতপার্থক্যের কারণে দল ত্যাগ করেন ও রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
ব্যক্তিগত পেশায় ফিরে গিয়ে পীরজাদা দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের একজন হয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেটের পদে উন্নীত হন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://nation.com.pk/pakistan-news-newspaper-daily-english-online/Regional/Islamabad/09-Jun-2011/Govt-on-collision-course-with-SC|শিরোনাম=Govt on collision course with SC|তারিখ=9 June 2011|কর্ম=The Nation|সংগ্রহের-তারিখ=3 July 2011|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110927165946/http://nation.com.pk/pakistan-news-newspaper-daily-english-online/Regional/Islamabad/09-Jun-2011/Govt-on-collision-course-with-SC|আর্কাইভের-তারিখ=27 September 2011|ইউআরএল-অবস্থা=dead}}</ref> তিনি ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে [[রেডিং]]য়ে [[রয়্যাল বার্কশায়ার হাসপাতাল|রয়্যাল বার্কশায়ার হাসপাতালে]] চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতায় মারা যান। তাকে ‘পাকিস্তানের সংবিধানের জনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।<ref name=”profile”>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Mansoor|প্রথমাংশ=Hasan|প্রকাশক=Dawn News|শিরোনাম=Profile: Abdul Hafeez Pirzada – a lawyer par excellence|ইউআরএল=http://www.dawn.com/news/1204625|ওয়েবসাইট=DAWN.com}}</ref>
== প্রারম্ভিক জীবন ও পরিবার ==
[[ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ|ব্রিটিশ ভারতের]] [[সিন্ধু প্রদেশ|সিন্ধু প্রদেশের]] [[সুক্কুর|সুক্কুরে]] জন্মগ্রহণ করা সিন্ধি পরিবারের অন্তর্গত আবদুল হাফিজ পীরজাদা ছিলেন [[সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী|সিন্ধুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী]] [[আবদুল সাত্তার পীরজাদা]]র ছেলে। তার পরিবার রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে: তার ভাই আব্দুল মুজিব [[পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এফ)]]-এর সদস্য।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2022}}
[[সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে এলএলএম করার আগে পীরজাদা [[করাচি বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে [[রাষ্ট্রবিজ্ঞান|রাষ্ট্রবিজ্ঞানে]], [[সোভিয়েত ইউনিয়ন]] ও [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদের]] উত্থানের উপর তার গবেষণামূলক প্রবন্ধে মনোনিবেশ করার পর এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তারপরে তিনি [[লন্ডন|লন্ডনের]] [[লিংকনস্ ইন|লিংকনস্ ইনে]] ব্যারিস্টার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন, যেমনটি তার বাবা ও দাদা নিয়েছিলেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2022}}
পীরজাদা [[সিন্ধু হাইকোর্টে|সিন্ধু হাইকোর্টে]] নিজ আইনি কর্মজীবন শুরু করেন, যা তখন [[পশ্চিম পাকিস্তান]] হাইকোর্ট নামে পরিচিত। তিনি প্রথম সহকর্মী আইনজীবী [[জুলফিকার আলী ভুট্টো]]র সাথে দেখা করেন যখন দুজনেই করাচিতে ডিঙ্গোমাল রামচাঁদানির আইন চেম্বারে সহযোগী ছিলেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2022}}
== পিপিপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ফেডারেল মন্ত্রী ==
পীরজাদা ৩০ জন সদস্যের অন্যতম ছিলেন যারা ৩০ নভেম্বর ১৯৬৭ সালে ভুট্টোর নেতৃত্বে [[পাকিস্তান পিপলস পার্টি]] সহ-প্রতিষ্ঠা করেন। [[আইয়ুব খান|আইয়ুব খানের]] সামরিক শাসন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মামলাগুলোয় ভুট্টোর আইনী পরামর্শদাতা হিসাবে পীরজাদা সফলভাবে মামলাগুলো জিতেন ও পার্টিতে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে থাকেন।
[[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] পীরজাদা ৬৪,০০০ ভোট পেয়ে [[মালির নগর|মালির]] থেকে [[পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ|জাতীয় পরিষদের]] সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name=”profile”/> ১৯৭১ সালে ভুট্টোকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি তৎকালীন [[তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় (পাকিস্তান)|তথ্যমন্ত্রী]] রোয়েদাদ খানকে বরখাস্ত করে তার স্থানে পীরজাদাকে নিয়োগ করেন। পীরজাদা এক বছর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও পান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2015-09-01|ভাষা=en|শিরোনাম=Author of 1973 Constitution Abdul Hafeez Pirzada passes away|ইউআরএল=http://tribune.com.pk/story/949160/author-of-1973-constitution-abdul-hafeez-pirzada-passes-away|সংগ্রহের-তারিখ=2022-06-03|ওয়েবসাইট=The Express Tribune}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=en|শিরোনাম=Renowned lawyer Hafeez Pirzada is no more|ইউআরএল=https://www.thenews.com.pk/print/14392-renowned-lawyer-hafeez-pirzada-is-no-more|সংগ্রহের-তারিখ=2022-06-03|ওয়েবসাইট=www.thenews.com.pk}}</ref>
=== সংবিধানের জনক ===
১৯৭৩ সালে ভুট্টোর সাথে মতপার্থক্যের কারণে [[মাহমুদ আলী কাসুরি]] পদ থেকে পদত্যাগ করার পর পীরজাদা আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। তিনি [[পাকিস্তানের সংবিধান|১৯৭৩ সালের সংবিধানের]] খসড়া প্রণয়ন ও চূড়ান্তভাবে পাস করার ক্ষেত্রে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2022}}
=== সরকারের আলোচনা দলের সদস্য ===
১৯৭৭ সালে পীরজাদাকে অর্থমন্ত্রী করা হয়। একই বছরে আবার এমএনএ হিসেবে নির্বাচিত পীরজাদা তিন সদস্যের সরকারি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যেটি পিএনএ বিরোধী গ্রুপিংয়ের সাথে আলোচনায় ব্যর্থ হয়। পিপিপি-এর নেতৃত্বাধীন সরকার সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ([[অপারেশন ফেয়ার প্লে|”ফেয়ার প্লে”]] দেখুন) [[মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক|জেনারেল জিয়া-উল-হক]], [[সেনাবাহিনীর প্রধান (পাকিস্তান)|তৎকালীন সেনাপ্রধান]] কর্তৃক উৎখাত হওয়ার আগে সেই সময়ে তিনি তিন মাসের কিছু বেশি সময় ধরে তিনি [[অর্থমন্ত্রী (পাকিস্তান)|পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী]] ছিলেন।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate”>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|লেখক-সংযোগ=|শেষাংশ=Zaman|প্রথমাংশ=Fakhar|তারিখ=|প্রকাশক=Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate|doi=|শিরোনাম=Pakistan Peoples Party – Past and Present|ইউআরএল=http://ppp.org.au/Downloads/chronology.pdf|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100415070116/http://ppp.org.au/Downloads/chronology.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=15 April 2010|সংগ্রহের-তারিখ=2 October 2016|ওয়েবসাইট=Fakhar Zaman}}</ref>
== অভ্যুত্থান ও গ্রেপ্তার ==
১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭-এ পীরজাদা ড. হাসান ও ভুট্টোর সাথে [[সামরিক পুলিশ]] কর্তৃক গ্রেফতার হন,<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate”/> ১৯৭৮ সালে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর পীরজাদা [[পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট|সুপ্রিম কোর্টে]] রিভিউ আবেদনের আবেদন করেন। এরপর তিনি [[মুবাশির হাসান|মুবাশ্বির হাসানের]] মুক্তির জন্য একটি পিটিশনও দাখিল করেন কিন্তু সামরিক পুলিশ ডক্টর হাসানকে অজ্ঞাত ফৌজদারি অভিযোগে আটকে রাখায় আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” />
=== ভুট্টোর মামলা লড়া ===
২৪ ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যালোচনার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ও তাই আদালত নিজ মূল সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate”/> পীরজাদা তখন বিভক্তির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ভুট্টোর সাজা কমানোর চেষ্টা করেন।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> এ বার যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> ২৮ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ড. হাসানের কলেজের সমস্ত পাঠ্য বই নিষিদ্ধ করে ও প্রধান বইয়ের দোকান থেকে বইগুলো জোর করে তুলে নেয়।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> ১২ মার্চে সুপ্রিম কোর্ট পিটিশনটি পর্যালোচনা শুরু করে এবং পরবর্তী ১২ দিনের জন্য তা করেছিল।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> ২৪ মার্চে পীরজাদা কারাগারে ভুট্টোকে জানান যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ডের একটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> পীরজাদা গোপনে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া-উল-হকের কাছে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যিনি সেই সময়ে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> পীরজাদা রাষ্ট্রপতিকে “সংবিধানের ধারা ৪৫” ব্যবহার করে সাজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর করতে বলেন।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> তবে জেনারেল জিয়া-উল-হক আবেদনটি অস্বীকার করে বলেন যে সেই আবেদন হারিয়ে গেছে।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” /> পীরজাদা অবিলম্বে তার কক্ষে ভুট্টোর সাথে দেখা করতে যান যেখানে তিনি ভুট্টোকে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। এর পরে পীরজাদা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ও গণমাধ্যমকে বলেন যে ভুট্টো মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ও করুণার জন্য আর আবেদন করবেন না।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate” />
== গণতন্ত্রপন্থী সক্রিয়তা ==
১ অক্টোবর ১৯৮২-এ পীরজাদাকে [[পাকিস্তানে ইসলামিকরণ|জিয়া-উল-হকের ইসলামিকরণের]] বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়, যেখানে তিনি নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের দাবি করেন।<ref name=”Fakhar Zaman and Pakistan Peoples Party’s Media Research Cell Directorate”/> পিপিপি সরকারের উৎখাত ও জেনারেল [[মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক]] কর্তৃক সামরিক আইন জারি করার পর পীরজাদা [[নুসরাত ভুট্টো|নুসরাত]] ও [[বেনজীর ভুট্টো]]র সাথে দূরত্ব গড়ে তোলেন। পাকিস্তানে সামরিক শাসনের সময় তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত ছিলেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2022}}
== ব্যক্তিগত পেশায় ফেরা ==
১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] ফিরে আসার পর পীরজাদা সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসেন ও সম্পূর্ণরূপে তার আইনি কর্মজীবনে মনোনিবেশ করেন। পীরজাদা ছিলেন পাকিস্তানের অন্যতম সফল আইনজীবী।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=October 2022}}
== মৃত্যু ==
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে পীরজাদা [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যের]] [[রেডিং]]য়ের [[রয়্যাল বার্কশায়ার হাসপাতাল|রয়্যাল বার্কশায়ার হাসপাতালে]] মারা যান। তাকে পীরজাদা পরিবারের পৈতৃক জন্মভূমি সুক্কুরে সমাহিত করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2015-09-02|প্রকাশক=[[The Sindh Times]]|শিরোনাম=Prominent law expert Abdul Hafeez Pirzado passes away|ইউআরএল=http://www.thesindhtimes.com/pak/prominent-law-expert-abdul-hafeez-pirzado-passes-away/|সংগ্রহের-তারিখ=2016-05-14}}</ref>
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি গণতন্ত্রকর্মী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি সাম্যবাদী]]
[[বিষয়শ্রেণী:সিন্ধি ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান পিপলস পার্টির রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি আইনজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০১৫-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:অপর্যালোচিত অনুবাদসহ পাতা]]