KanikBot: পুনর্নির্দেশিত :বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩-এর প্রাকৃতিক বিপর্যয় সরিয়ে :বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩-এর প্রাকৃতিক দুর্যোগ স্থাপন
{{Infobox eruption
|name = ১৮৮৩ ক্রাকাতোয়া অগ্ন্যুৎপাত’
|photo = De uitbarsting van de Krakatau, KITLV 5888.tiff
|photo-size = 250
|caption = ১৮৮৩ সালে অগ্ন্যুৎপাতের সময় গৃহীত আলোকচিত্র
|volcano = [[ক্রাকাতোয়া]]
|start_date = ২০শে মে ১৮৮৩<ref name=”GVP”>{{cite gvp|title=Krakatau|vn=262000|vtab=Eruptions|access-date=3 May 2021}}</ref>
|end_date = {{end date|1883|10|21|df=y}} (?)<ref name=”GVP”/>
|type = [[প্লিনীয় অগ্ন্যুৎপাত]]<ref>{{cite journal|url=https://link.springer.com/article/10.1007/BF00177223|title=Krakatau revisited: The course of events and interpretation of the 1883 eruption|year=1992 |publisher=[[Springer Science+Business Media]]|doi=10.1007/BF00177223 |access-date=20 May 2022|last1=Self |first1=Stephen |journal=GeoJournal |volume=28 |issue=2 |s2cid=189890473 }}</ref>
|location = [[ক্রাকাতোয়া দ্বীপপুঞ্জ]], [[সুন্দা প্রণালী]], [[ওলন্দাজ পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ]] (বর্তমান [[ইন্দোনেশিয়া]])
|coordinates = {{coord|6.102|S|105.423|E|source:pamwiki_type:mountain|display=inline,title}}
|VEI = ৬<ref name=”GVP”/>
|impact = ২ কোটি টন [[গন্ধক]] (সালফার) নিঃসৃত হয়; পাঁচ বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস।
|deaths =৩৬,৪১৭–১,২০,০০০
|landslides = Yes
|map = Krakatoa map.svg
|map-size = 250
|map-caption = অগ্ন্যুৎপাতের পরে ভূগোলের পরিবর্তন
}}
[[File:Krakatoa eruption lithograph.jpg|thumb|অগ্ন্যুৎপাতের প্রস্তর-ছাপচিত্র (আনুমানিক ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দ)]]
”’১৮৮৩ ক্রাকাতোয়া অগ্ন্যুৎপাত”’ ({{lang-id|Letusan Krakatau 1883}}) ছিল ১৮৮৩ সালের ২০শে মে থেকে ২১শে অক্টোবর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ ও সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত সুন্দা সমুদ্রপ্রণালীর ক্রাকাতোয়া আগ্নেয় দ্বীপের আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। মূলত ২৬শে আগস্টের বিকেল থেকে ২৭শে আগস্টের সকাল পর্যন্ত মূল অগ্ন্যুৎপাতগুলি ঘটে। ২৬শে আগস্ট প্রাথমিক বিরাট বিস্ফোরণগুলি ঘটে ও সংশ্লিষ্ট মহাজলোচ্ছ্বাস বা সুনামিগুলির সৃষ্টি হয়। ২৭শে আগস্ট সকালে সর্বশেষ প্রলয়ংকর বিস্ফোরণটি ঘটে এবং এতে ক্রাকাতোয়া দ্বীপটির প্রায় ৭০% এবং চারপাশের ক্রাকাতোয়া দ্বীপপুঞ্জের বাকি দ্বীপগুলি ধ্বংস হয়ে ধসে গিয়ে একটি জ্বালামুখ গহ্বরের সৃষ্টি হয় ও শেষ একটি সুনামির সৃষ্টি হয়।
ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাতটির [[আগ্নেয় বিস্ফোরণ সূচক]] হল ৬। তাই এটি লিপিবদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাতগুলির একটি হিসেবে স্বীকৃত। এর আগ্নেয় বিস্ফোরণের শব্দটি ক্রাকাতোয়া থেকে ৩১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে এবং ৪৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারত মহাসাগরের রদ্রিগেস দ্বীপে (মরিশাসের কাছে) শুনতে পাওয়া গিয়েছিল।<ref>{{cite EB1911 |wstitle=Krakatoa |volume=15 |page=923}}</ref> আগ্নেয় বিস্ফোরণের শব্দচাপ তরঙ্গটি গোটা পৃথিবীকে তিনবারের বেশি প্রদক্ষিণ করেছিল।<ref name=”Symons88″>{{cite book|url=https://archive.org/stream/eruptionkrakato00whipgoog#page/n12/mode/2up |title=Symons, G.J. (ed) ”The Eruption of Krakatoa and Subsequent Phenomena” (Report of the Krakatoa Committee of the Royal Society). London, 1888 |publisher=Internet Archive |year=1888}}</ref>{{rp|63}} এটির দ্বারা সৃষ্টি সুনামি বা মহাজলোচ্ছ্বাসগুলির উচ্চতা ৪০ মিটার (১৩১ ফুট) পর্যন্ত চলে গিয়েছিল, যেগুলি উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। এটির দ্বারা সৃষ্টি সুনামি বা মহাজলোচ্ছ্বাসগুলির উচ্চতা ৪০ মিটার (১৩১ ফুট) পর্যন্ত চলে গিয়েছিল, যেগুলি উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। অগ্ন্যুৎপাত এবং এর দ্বারা সৃষ্ট মহাজলোচ্ছ্বাস বা সুনামির কারণে কমপক্ষে ৩৬,৪১৭ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতব্যক্তির সংখ্যার বিচারে এটি ছিল লিপিবদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাতপগুলির একটি।অগ্ন্যুৎপাতের পরের দিন ও সপ্তাহগুলিতে সারা বিশ্বব্যাপী এর তাৎপর্যপূর্ণ অতিরিক্ত প্রভাব অনুভূত হয়েছিল। আগ্নেয় বিস্ফোরণের ফলে যে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয় ভস্ম ও বায়বীয় বিক্ষেপ (অ্যারোসল) বায়ুমণ্ডলে উৎক্ষিপ্ত হয়, তার ফলে বিশ্বব্যাপী রঙবেরঙের সূর্যাস্ত দৃশ্যমান হয় এবং পৃথিবীর জলবায়ু সাময়িকভাবে শীতল হয়ে পড়ে।
বর্তমানে একই এলাকায় ”আনাক ক্রাকাতাউ” (অর্থাৎ “ক্রাকাতোয়ার সন্তান”) নামের আরেকটি ছোট আগ্নেয় দ্বীপ জেগে উঠেছে এবং এটিতে আগ্নেয় কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে।
==জনসংস্কৃতিতে==
[[File:Edvard Munch, 1893, The Scream, oil, tempera and pastel on cardboard, 91 x 73 cm, National Gallery of Norway.jpg|thumb|নরওয়েজীয় চিত্রশিল্পী এডভার্ড মুঞ্চের ”আর্তনাদ”]]
কোনও কোনও চিত্রকলা ইতিহাসবিদের মতে এডভার্ড মুঞ্চের ১৮৯৩ সালের ”আর্তনাদ” চিত্রকর্মটির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল ক্রাকাতোয়ার অগ্ন্যুৎপাত, যার কারণে পশ্চিম গোলার্ধের অনেক দেশে ১৮৮৩ ও ১৮৮৪ সালে সূর্যাস্তগুলি লালের বিভিন্ন গভীর আভার সমন্বয়ে দৃশ্যমান হয়েছিল। ধারণা করা হয়, মুঞ্চ তাঁর এই অদ্ভূত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই এক দশক পরে চিত্রকর্মটি আঁকেন।<ref>
{{cite journal |last=Olson |first=Donald W. |author2=Russell L. Doescher |author3=Marilynn S. Olson |title=The Blood-Red Sky of the Scream |journal=APS News |publisher=American Physical Society |volume=13 |issue=5 |date=May 2005 |url=http://www.aps.org/publications/apsnews/200405/backpage.cfm |access-date=22 December 2007 }}</ref>
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩ ক্রাকাতোয়া অগ্ন্যুৎপাত]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর আগ্নেয় ঘটনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩-এ এশিয়া]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩-এ ইন্দোনেশিয়া]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩-এ ওশেনিয়া]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৮৩-এর প্রাকৃতিক দুর্যোগ]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর সুনামি]]
[[বিষয়শ্রেণী:আগস্ট ১৮৮৩-এর ঘটনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:জলবায়ুর উপর বলপ্রয়োগকারী ঘটনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ক্রাকাতোয়া]]
[[বিষয়শ্রেণী:মহাসুনামি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি]]
[[বিষয়শ্রেণী:৬নং আগ্নেয় বিস্ফোরণ সূচকের অগ্ন্যুৎপাত]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্দোনেশিয়াতে অগ্ন্যুৎপাত]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্লিনীয় অগ্ন্যুৎপাত]]
[[বিষয়শ্রেণী:আগ্নেয় সুনামি]]
[[বিষয়শ্রেণী:আগ্নেয় হিমঋতু]]
Go to Source