সেলিনা পারভীন: চিত্র
6 অক্টোবর গোটা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস । এই দিবসের উদ্দেশ্য হল সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া এবং তাঁদের সহায়তা করা । পাশাপাশি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সামাজিক পরিবর্তন তৈরি করা (Cerebral Palsy)।
সেরিব্রাল পালসি একটি একক রোগ নয় বরং বেশ কয়েকটি স্নায়বিক রোগের একটি গ্রুপ যা শিশুর মধ্যে ঘটে এবং স্থায়ীভাবে শিশুর পেশীর নড়াচড়া এবং অঙ্গবিন্যাসকে প্রভাবিত করে, যা শিশুকে আজীবন অক্ষমতায় ফেলে দেয় । সেরিব্রাল পালসি প্রতি 1,000 শিশুর মধ্যে 2 থেকে 4 জনকে প্রভাবিত করে । এটি মোটেও সাধারণ সমস্যা নয় । এই রোগটি বিশ্বব্যাপী প্রায় 17 মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করে ৷ তবুও খুব কম মানুষই এটি সম্পর্কে সচেতন ।
সেরিব্রাল পালসি (CP) হল গর্ভাবস্থায়, জন্মের সময় বা জন্মের পরপরই মস্তিষ্কের ক্ষতি বা অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের বিকাশের ফলে সৃষ্ট স্নায়বিক অবস্থার একটি গ্রুপ । এই রোগে দৃষ্টিশক্তি, বক্তৃতা এবং শেখার সমস্যা, বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা, মৃগীরোগ এবং স্বেচ্ছাসেবী পেশী নড়াচড়ার আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতি-সহ বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে । এটি মস্তিষ্ক ও পেশীর সমস্যা । অনেকসময় চোখ ও কানও সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত হয় ।