Lakshmikanta Manna:
|name = পার্সিমন<br />Persimmon
|image = File:Fuyu persimmon fruits, one cut open.jpg
|image_caption = পার্সিমন ফল- পুরো এবং অর্ধেক
|status =
|status_system = IUCN2.3
|regnum = [[Plantae|উদ্ভিদ]]
|unranked_divisio =
|unranked_classis =
|unranked_ordo = [[Asterids|সপুষ্পক উদ্ভিদ]]
|ordo =
|familia = [[Ebenaceae |এবেনাসি]]
|genus = ”[[ Diospyros|ডায়োস্পাইরোস]]”
|species = Diospyros kaki
|binomial = ”Diospyros melanoxylon”<br/>Diospyros kaki(জাপান) <br/>Diospyros virginiana (আমেরিকা)<br/>Diospyros digyna (কালো রঙ-মেক্সিকো)<br/>Diospyros peregrina(ভারতীয়)
|binomial_authority = [[Diospyros (roxb) melanoxylon]]
|synonyms =
}}
”’পার্সিমন”’ (ভারতে হিন্দি ভাষায় ”তেন্ডু”, ”আকমল” বা ”স্বর্ণাম্র” নামে পরিচিত) হল হলুদ, কমলা বা লাল রঙের ডায়োস্পাইরোস গণের বিভিন্ন প্রজাতির একটি ভোজ্য মিষ্টি ফল। এটি অনেকটা [[টমেটো|টম্যাটোর]] আকারের ১.৫ সেমি হতে ৯ সেমি ( ০.৫ থেকে ১৫ ইঞ্চি) বৃত্তাকার আকৃতির হয়ে থাকে।
যদিও পার্সিমনের উৎপত্তি চীনে হয়েছে বলে মনে করা হয়, এক জাতের পার্সিমন উত্তর আমেরিকাতে প্রচুর উৎপন্ন হয়। এটি মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলের মধ্য-দক্ষিনে বিস্তৃত সমভূমিতে প্রতুল হলেও, উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ হিসাবে এটি জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, ক্যালিফোর্নিয়ায় ভালোই জন্মায়। <ref name=”ictd”>{{ ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম = Dale Carson Discusses the Fall-Ripening, Orange-Colored, Tomato-Shaped Fruit Persimmon | ইউআরএল =https://indiancountrytoday.com/archive/dale-carson-discusses-the-fall-ripening-orange-colored-tomato-shaped-fruit-persimmon| সংগ্রহের-তারিখ =২০২২-১০-১৬}}</ref> ভারতে এটি [[মধ্যপ্রদেশ]] এবং [[উত্তর প্রদেশ|উত্তর প্রদেশের]] বিশেষ করে বিন্ধ্যাচল পাহাড়ে জন্মায়।
“পারসিমন” ফলের স্বাদে খেঁজুর ও আলুবখরা থাকার কারণে ইংরাজীতে ”ডেট-প্লাম”ও বলা হয়। ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের যে অঞ্চলে জন্মায় সেগুলি হিন্দি ভাষাভাষী অঞ্চল হওয়ায় স্থানীয়ভাবে হিন্দিতে ”তেন্ডু” নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিতি ”[[গাব|বিলিতি গাব]]” হিসাবে।
==উদ্ভিদ ও ফলের বর্ণনা==
[[টমেটো]] সদৃশ পার্সিমনকে সাধারণত [[বেরি]] হিসাবে গণ্য করা না হলেও [[অঙ্গসংস্থান| আকারগতভাবে]] ফলটি আসলে [[বেরি]] জাতীয়। ”ডায়োস্পাইরোস কাকি” প্রজাতির পার্সিমনের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আমেরিকান ও ভারতীয় প্রজাতির গাছ সাধারণত ৪.৫ থেকে ১৮ মিটার (অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৯ ফুট) উচ্চতার এবং গোলাকার শীর্ষের হয়ে থাকে। জাপানের পার্সিমন গাছ ৪ – ১০ মিটার উচ্চতার হয়ে থাকে। <ref name=”morton”>{{cite web|author=Morton JF|year=1987|publisher=NewCROP, New Crops Resource Online Program, Purdue University Center for New Crops and Plant Products; from Morton, J. 1987. Japanese Persimmon. pp. 411–16. In: Fruits of warm climates|title=Japanese persimmon|url=https://www.hort.purdue.edu/newcrop/morton/japanese_persimmon.html}}</ref> এটি সাধারণত খাড়া অবস্থায় থাকে, তবে কখনও কখনও আঁকাবাঁকা হতে পারে বা উইলো চেহারারও হয়। গাছের পাতাগুলি ৭-১৫ সেন্টিমিটার (৩-৬ ইঞ্চি) লম্বা হয়<ref name=”morton” />উপরের পৃষ্ঠ চকচকে চামড়ার মত এবং নীচের অংশ সিল্কি বাদামী রঙের।<ref name=”morton”/> গাছের পাতা [[পর্ণমোচী]] এবং নীলাভ-সবুজ রঙের। তবে শরৎকালে হলুদ, কমলা বা লাল হয়ে যায়। <ref name=”morton” />
পার্সিমন গাছ সাধারণত দ্বিবীজপত্রী, <ref name=”:0″>{{cite web|title=Diospyros kaki ‘Fuyu’ – Plant Finder|url=http://www.missouribotanicalgarden.org/PlantFinder/PlantFinderDetails.aspx?kempercode=d401|website=www.missouribotanicalgarden.org}}</ref> অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে উৎপন্ন হয়। <ref name=”morton”/>কিছু গাছে অবশ্য পুরুষ ও স্ত্রী উভয় ধরনের ফুল থাকে এবং বিরল ক্ষেত্রে একটি সম্পূর্ণ ফুলও হতে পারে। পুরুষ ফুল গোলাপী হয় <ref name=”:0″ />এবং একসঙ্গে তিনটি দেখা যায়। <ref name=”morton”/> এদের চারটি আলাদা [[বৃতি]], এক দলমণ্ডলে এবং দুটি সারিতে ২৪ টি [[পুংকেশর]] থাকে। স্ত্রী ফুল সাধারণত ক্রিমি-সাদা <ref name=”:0″ />এবং এককভাবে দেখা যায়।<ref name=”morton”/> তাদের একটি বড় [[বৃতি]], চারটি ভাগের হলুদ রঙের দলমণ্ডলে আটটি অনুন্নত [[পুংকেশর]] এবং একটি গোলাকার ডিম্বাশয় থাকে।<ref name=”morton” /> ‘সম্পূর্ণ’ ফুল এই দুটির মধ্যেকার একটি ক্রস। <ref name=”morton” /> <ref name=”:0″ />
পার্সিমন ফল শরতের শেষের দিকে পাকতে শুরু করে এবং শীতকাল পর্যন্ত গাছে থাকে।<ref name=”:0″/>প্রজাতি এবং বৈচিত্রের উপর নির্ভর করে পরিপক্ক ফল চকচকে হালকা হলুদ-কমলা থেকে গাঢ় লাল-কমলা পর্যন্ত হয়ে থাকে। <ref name=”morton”/> ফলটি টম্যাটোর আকারের ১.৫ সেমি হতে ৯ সেমি (০.৫ থেকে ১৫ ইঞ্চি) বৃত্তাকার আকৃতির হয়ে থাকে। <ref>{{cite web|url=http://www.extento.hawaii.edu/kbase/crop/crops/i_persim.htm|title=General Crop Information: Persimmon|publisher=University of Hawaii, Extension Entomology & UH-CTAHR Integrated Pest Management Program|author=Carley Petersen and Annabelle Martin|access-date=2007-01-15}}</ref> বৃতিটি সাধারণত ফলের সাথে লেগেই থাকে, কিন্তু ফল পাকলে সরানো যায়। পাকা ফল প্রধানত ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ উপাদানে সুক্রোজ সমৃদ্ধ এবং স্বাদে মিষ্ট হয়। <ref>{{cite journal |last1=Butt |first1=Masood Sadiq |last2=Sultan |first2=M. Tauseef |last3=Aziz |first3=Mahwish |last4=Naz |first4=Ambreen |last5=Ahmed |first5=Waqas |last6=Kumar |first6=Naresh |last7=Imran |first7=Muhammad |title=Persimmon (Diospyros kaki) fruit: hidden phytochemicals and health claims |journal=EXCLI Journal |date=4 May 2015 |volume=14 |pages=542–61 |doi=10.17179/excli2015-159 |pmid=27047315 |pmc=4817420 }}</ref>
কিন্তু কাঁচা অবস্থায় ফলটি সাধারণত কষা বা তিক্ত স্বাদের।
{{gallery|Persimmon 0375.jpg|আমেরিকান পার্সিমন স্ত্রী ফুল|Caucasian persimmon – Diospyros lotus 06.jpg|লোটাস পার্সিমন গাছের শাখায় ফল|Kaki 20041002.jpg|পার্সিমন গাছের শাখায় ফল| Persimmon-oliv2.jpg|পার্সিমন ফল – পুরো এবং অর্ধেক|Persimmon leaves 2222.jpg|পার্সিমন গাছের পাতা|Persimmon.jpg|শরৎকালে আমেরিকান পার্সিমন গাছের পাতা|mode=packed}}
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:ভোজ্য ফল]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঔষধি উদ্ভিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:এশিয়ায় উদ্ভূত ফল]]
== বহিঃসংযোগ==
{{Commons category|Persimmon}}
* {{Cite EB1911|wstitle=Persimmon|short=x}}