কুশিয়ারা পানিবণ্টন চুক্তি

Owais Al Qarni:


{{Infobox treaty|name=কুশিয়ারা পানিবণ্টন চুক্তি|long_name=|image=Kushiara Water Sharing Deal, 6 September 2022.jpg|image_width=300px|caption=|type=[[:en:Memorandum of understanding|সমঝোতা স্মারক]]|context=|date_drafted=২৬ আগস্ট ২০২২|date_signed={{Start date|২০২২|০৯|০৬}}|location_signed=[[হায়দ্রাবাদ হাউস]]|date_sealed=|date_effective=|condition_effective=|date_expiration=<!– {{End date|YYYY|MM|DD}} OR: –>|date_expiry=<!– {{End date|YYYY|MM|DD}} –>|mediators=<!– format this as a bullet list –>|negotiators=<!– format this as a bullet list –>|original_signatories=<!– format this as a bullet list –>|signatories={{বুলেটকৃত তালিকা|{{flagcountry|বাংলাদেশ}}|{{flagcountry|ভারত}}}}|parties=<!– format this as a bullet list –>|ratifiers=<!– format this as a bullet list –>|depositor=<!– OR: –>|depositories=<!– format this as a bullet list –>|citations=<!– format as XX [[Article on Treaty Series|TS]] YYY –>|language=ইংরেজি<!– OR: –>|languages=<!– format this as a bullet list –>|wikisource=<!– OR: –>|wikisource1=<!– Up to 5 wikisourceN variables may be specified –>|footnotes=}}
”’কুশিয়ারা পানিবণ্টন চুক্তি”’ হলো [[কুশিয়ারা নদী|কুশিয়ারা নদীকে]] কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সিলেটে কুশিয়ারা নদীর রহিমপুর খাল পয়েন্টে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে।

== প্রেক্ষাপট ==
ভারতের মণিপুরের উত্তরে আঙ্গামীনাগা পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে [[বরাক নদী]] মণিপুরের কাছাড় জেলা ভেদ করে বদরপুর দিয়ে সিলেট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বরাক নদী সিলেটের সীমান্তস্থিত অমলসিদ স্থান থেকে দুই শাখায় প্রবাহিত হচ্ছে। একটি সুরমা নদী অপরটি [[কুশিয়ারা নদী]]। কুশিয়ারা নদীর দৈর্ঘ্য ১২০ মাইল।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://jagannathpur.sunamganj.gov.bd/bn/site/top_banner/Hh7b-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80|শিরোনাম=কুশিয়ারা নদী|কর্ম=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন|সংগ্রহের-তারিখ=৭ সেপ্টেম্বর ২০২২}}</ref> এই নদীর পানি রহিমপুর খাল দিয়ে কৃষিকাজে ব্যবহারের কাজে ভারতে আপত্তি ছিল দীর্ঘদিনের। এই আপত্তির নিরসনে ২০২১ সালের জানুয়ারির দিকে [[যৌথ নদী কমিশন|যৌথ নদী কমিশনের]] ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় আলোচনা শুরু হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/663866/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F|শিরোনাম=কুশিয়ারার পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ|শেষাংশ=জামান|প্রথমাংশ=শেখ শাহরিয়ার|তারিখ=২৬ জানুয়ারি ২০২১|কর্ম=বাংলা ট্রিবিউন}}</ref> ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত থেকে সিলেটে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/amp/story/bangladesh/n5wh2lg07i|শিরোনাম=কুশিয়ারার পানি প্রত্যাহারে মতৈক্য, তিস্তায় আবারও আশ্বাস|তারিখ=২৬ আগস্ট ২০২২|কর্ম=দৈনিক প্রথম আলো}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/news/585313/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4|শিরোনাম=তিস্তা নয় কুশিয়ারার পানি দিতে পারে ভারত|তারিখ=১৯ আগস্ট ২০২২|কর্ম=দৈনিক যুগান্তর}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/amp/online/national/2022/08/26/1176825|শিরোনাম=কুশিয়ারা নিয়ে সমঝোতায় সম্মত ঢাকা-দিল্লি|তারিখ=২৬ আগস্ট ২০২২|কর্ম=দৈনিক কালের কণ্ঠ}}</ref> ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এটি সহ ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতায় ভারত বাংলাদেশকে কুশিয়ারা নদীর রহিমপুর পয়েন্ট থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে দিতে রাজি হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-62809532|শিরোনাম=হাসিনা-মোদী বৈঠক: অধরাই রয়ে গেল তিস্তা, রফা হলো কুশিয়ারার পানি বন্টনে|শেষাংশ=ঘোষ|প্রথমাংশ=শুভজ্যোতি|তারিখ=৬ সেপ্টেম্বর ২০২২|কর্ম=বিবিসি বাংলা}}</ref>

== চুক্তির সুবিধা ==
রহিমপুর পয়েন্টের সাতটি উপজেলায় সেচের জন্য কোন পানি পাওয়া যেত না এবং শুষ্ক মৌসুমে পুরো অঞ্চলটিতে কোন কৃষি কাজ করা যেত না। সেচের পানির অভাবে বছরের বেশিরভাগ সময় ওই পুরো অঞ্চলে কৃষি জমি পুরোপুরি ফসল শূন্য হয়ে থাকে। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ রহিমপুর পয়েন্টে একটি পাম্প-হাউজ ও একটি বাঁধ নির্মাণ করে। সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্প সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-62811795|শিরোনাম=ভারত-বাংলাদেশ: অভিন্ন নদী কুশিয়ারার পানি যে কাজে লাগবে বাংলাদেশে|শেষাংশ=পারভীন|প্রথমাংশ=শাহনাজ|তারিখ=৬ সেপ্টেম্বর ২০২২|কর্ম=বিবিসি বাংলা}}</ref> চুক্তির ফলে এই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে। এ খালের ভাটিতে থাকা হাওরাঞ্চলেও বোরো চাষাবাদ সম্ভব হবে, মৎস চাষ বাড়বে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bangla.thedailystar.net/news/bangladesh/news-390716|শিরোনাম=কুশিয়ারা পানিবণ্টন চুক্তি: উপকৃত হবে ৩ উপজেলার লক্ষাধিক কৃষক|শেষাংশ=চৌধুরী|প্রথমাংশ=দ্বোহা|তারিখ=৬ সেপ্টেম্বর ২০২২|কর্ম=ডেইলি স্টার}}</ref>

== প্রতিক্রিয়া ==
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/8egu1cc8cm|শিরোনাম=কুশিয়ারার পানিবণ্টন চুক্তি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী|তারিখ=৭ সেপ্টেম্বর ২০২২|কর্ম=দৈনিক প্রথম আলো}}</ref>

== আরও দেখুন ==

* [[গঙ্গার জল বণ্টন]]

== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}

[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের চুক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের নদী]]
[[বিষয়শ্রেণী:আসামের নদী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পানি ও রাজনীতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০২২-এর বৈদেশিক চুক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বৈদেশিক চুক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন]]


Posted

in

by

Tags: