Lakshmikanta Manna:
| honorific_prefix =
| name = ঈশা মহম্মদ
| honorific_suffix =
| image =
| image_size =
| caption =
| birth_name = ঈশা মহম্মদ
| birth_date = ১৯৩৩
| birth_place = [[কোন্নগর]], [[হুগলি]], [[ব্রিটিশ ভারত ]] (বর্তমানে [[পশ্চিমবঙ্গ]]) [[ভারত]]
| death_date = ১১ মে ২০২১
| death_place = [[কলকাতা]], [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ভারত ]]
| nationality = [[ভারতীয় ]]
| field = [[চিত্রাঙ্কন]]
| training =
| movement =
| works =
| awards =
| patrons =
| education =
| spouse =
| children =
}}
অধ্যাপক ”’ঈশা মহম্মদ”’ ( ১৯৩৩ – ১১ মে ২০২১) ছিলেন একজন বিশিষ্ট [[ভারতীয় বাঙালি ]] চিত্রকর ও শিল্পী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই চিত্রশিল্পী কলকাতার [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটের]] প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং [[এশিয়াটিক সোসাইটি (কলকাতা)|এশিয়াটিক সোসাইটির]] সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক চেতনা সম্পন্ন এই মানুষটি পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সাথেও যুক্ত ছিলেন।<ref name=”bww”>{{ ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম = প্রয়াত বিশিষ্ট চিত্রকর ও শিল্পী ঈশা মোহম্মদ| ইউআরএল =http://www.banglaworldwide.com/post/Prominent-painter-and-artist-Isha-Mohammad-has-died| সংগ্রহের-তারিখ =২০২২-১০-০৯}}</ref>
==জন্ম ও শিক্ষাজীবন==
ঈশা মহম্মদের জন্ম ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে [[ব্রিটিশ ভারত | ব্রিটিশ ভারতের]] অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ | পশ্চিমবঙ্গের]] হুগলি জেলার কোন্নগরে। পুরুষানুক্রমিক ভাবেই তাদের বসবাস কোন্নগরে এবং যৎসামান্য বিষয়সম্পত্তি ছিল তার পিতার। তার প্রপিতামহের নামেই এখানে একটা রাস্তাও আছে। ঈশা উদারপন্থী পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। পিতা কাজ করতেন কোন্নগরে ভারতে প্রথম শুরু হওয়া বাটা কোম্পানিতে ডিজাইনার হিসাবে, যদিও তিনি আর্ট স্কুলের পড়াশোনা তখনও শেষ করেন নি। কোন্নগর হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় তার পিতা মারা যান। সুতরাং দারিদ্র আর সেইসময়কার দাঙ্গাসহ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দুটি বৎসর নষ্ট করে ঈশা ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে স্কুল ফাইনাল পাশ করেন। ছোটবেলা থেকে তার ছবি আঁকতে ভাল লাগত। ফুল, ফল, পাখি, রাস্তায় দেখা মিলিটারি পুলিশ আঁকতেন। তার ইচ্ছা ছিল আর্ট স্কুলে ভর্তি হয়ে আর্ট শেখার। কিন্তু মায়ের ইচ্ছায় উত্তরপাড়া কলেজে ভর্তি হন বিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইএসসি পাশ করেন। এই সময় কোন্নগরে জে পি গঙ্গোপাধ্যায়, [[রথীন মৈত্র]], [[সুধীররঞ্জন খাস্তগীর |সুধীর খাস্তগীর]], কিশোরী রায়, [[বীরেন দে]] প্রমুখের দেশীয় শিল্পীদের প্রদর্শিত চিত্র প্রদর্শনীর ছবি দেখে ঈশা উদ্বুদ্ধ হন। কলেজে যাওয়ার নাম করে গঙ্গার ঘাটে বসে স্কেচ করতে থাকেন এবং দূরসম্পর্কের এক কাকা মহিউদ্দিনের বাড়িতে সে শিল্পকর্ম রেখে দিতেন। সেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের আনাগোনা ছিল। [[বিধানচন্দ্র রায়| বিধানচন্দ্র রায়ের]] বন্ধু [[কালীকিঙ্কর সেনগুপ্ত |ডা কালীকিঙ্কর সেনগুপ্ত]] কাকার বাড়িতে ঈশার শিল্পকর্ম দেখেন। তারই সূত্রে ঈশা ওয়েস্টার্ন পেন্টিং-এ ফাইন আর্টস বিষয়ে ভর্তি হন কলকাতার [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটে]]। <ref name =”abp”>{{ ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম = স্তালিন কেন, রবীন্দ্রনাথের মূর্তি করতে পারলে না? (রবিবাসরীয়)| ইউআরএল =http://archives.anandabazar.com/archive/1080101_mod/30rabimag.htm| সংগ্রহের-তারিখ =২০২২-১০-০৯}}</ref>১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন। এখানে তিনি [[চিন্তামণি কর]], [[গোপাল ঘোষ]] প্রমুখ খ্যাতনামা শিল্পীদের সান্নিধ্য ও সাহচর্য লাভ করেন। কলকাতার [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটে]] অধ্যাপনাকালে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে জার্মান সরকারের ভ্রমণ স্কলারশিপ নিয়ে [[ডুসেলডর্ফ]] যান। সেখানকার আকাদেমি হতে গ্রাফিক আর্টে প্রশিক্ষণ নেন।
==কর্মজীবন==
১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ডিপ্লোমা লাভের পর ঈশা মহম্মদ চিন্তামণি করের কথায় [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটে]] দেবকুমার রায়চৌধুরী ছুটিতে গেলে, তার জায়গায় ছয় মাস কাজ করেন। এর পর তিনি বহুজাতিক বিজ্ঞাপন সংস্থা ”জে ওয়াল্টার থমসন”-এ রণেন আয়ণ দত্তের অধীনে কয়েকদিন এবং পরে সরকারের প্রচার বিভাগে কিছু দিন কাজ করে শেষে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে স্থায়ী ভাবে [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটে]] ‘লেকচারার ইন ড্রইং অ্যাণ্ড পেন্টিং’ পদে যোগ দেন। এখানেই ছ’বছর পর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হন। শেষে অফিসার ইনটচার্জ হিসাবে প্রায় চোদ্দ বছর কাজ করে, ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের অবসর নেওয়ার এক বছর পূর্বে অধ্যক্ষ হন।<ref name =”abp”/>
==শিল্পকর্ম ও প্রদর্শনী==
অধ্যাপক ঈশা মহম্মদ তেলরঙে ছবি আঁকতে বেশি পছন্দ করতেন। ডাইরেক্ট অয়েল বা ওয়াটার কালারে স্কেচ করতেন। বেশকিছু প্রতিকৃতিও এঁকেছেন। তবে জার্মানিতে শিল্পকর্ম দেখে এবং গ্রাফিক আর্টে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ঈশা রিয়্যালিজ্ম থেকে ক্রমশ এক্সপ্রেশনিজ্মের দিকে এবং তারপর সোস্যাল রিয়েলিটির দিকে মনোনিবেশ করেন। <ref name=”BF”>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম = Isha Mohammed | ইউআরএল =https://bengalfoundation.org/featured_artist/isha-mohammed/| সংগ্রহের-তারিখ =২০২২-১০-০৯}}</ref><ref name =”abp”/> ক্যানভাসে তেলরঙে আঁকা উল্লেখযোগ্য ছবির শিরোনাম ছিল-
* ‘আতঙ্ক’ (ফ্রাইটেন্ড)
* ‘গ্রাম বাংলা’
* ‘ইফতার’
* ‘রাজিয়া সুলতানা’
* ‘কর্ণ ও কুন্তি’
* ‘অল মাই সন্স’
* ‘ডাইং প্রিন্সেস’
* ‘স্কয়ার অ্যান্ড মিরর’
* ‘কন্সপিরেসি – ১’
* ‘বধূ’ ১,২,৩
ঈশা মহম্মদ সুনিপুণ দক্ষতায় বিশাল আকারের পোর্টরেটও আঁকতেন। [[ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়|যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের]] কমিটি রুমে তাঁর আঁকা রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথের বড় ছবি রক্ষিত আছে।
ঈশা মহম্মদের আঁকা শিল্পকর্মের বহু প্রদর্শনী (একক ও সম্মিলিতরূপে) দেশ-বিদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমন –
; একক প্রদর্শনী-
* ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিঙ
* ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্দো আমেরিকান সোসাইটি, কলকাতা
* ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়া ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফট সোসাইটি, [[নতুন দিল্লি]]
* ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম জার্মানি (হাউস প্রদর্শনী)
* ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস, কলকাতা
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বেডফোর্ড হিল গ্যালারি, বেডফোর্ড, [[লন্ডন]]
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে জেনেসিস আর্ট গ্যালারি, কলকাতা
১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ভাদেরা আর্ট গ্যালারি, [[নতুন দিল্লি]]
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে জাহাঙ্গীর আর্ট গ্যালারি, মুম্বাই
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে চিত্রকূট আর্ট গ্যালারি, কলকাতা
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তাজ গ্যালারি, তাজ হোটেল, মুম্বই
;যৌথ প্রদর্শনী-
* [[অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতা]] , ১৯৫৫, ১৯৫৮, ১৯৫৯ এবং ১৯৬১
* [[ললিত কলা একাডেমি]] আয়োজিত ন্যাশনাল এক্সজিবিশন অফ আর্ট- ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং ১৯৮৭
* কলকাতার বিড়লা একাডেমী অফ আর্ট এন্ড কালচার – ১৯৭১খ্রি হতে ২০০৬ খ্রি প্রতি বৎসর। <ref name =”BA”>{{ ওয়েব উদ্ধৃতি| শিরোনাম = Artistview- Isha Mohammed | ইউআরএল = https://www.barmanarts.com/artist-view?/157/Isha-Mohammad| সংগ্রহের-তারিখ =২০২২-১০-০৮}}</ref>
প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক চেতনা সম্পন্ন খ্যাতনামা শিল্পী ঈশা মহম্মদ ছিলেন সংস্কৃতি-মনস্ক মানুষ। অসাম্প্রদায়িক আধুনিক এবং বামপন্থী রাজনীতির সমর্থক ছিলেন তিনি। কলকাতার [[গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, কলকাতা| গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফটের]] অধ্যক্ষ হয়েছিলেন নিজের দক্ষতায়। তেমনই তিনি কলকাতার
এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতিও হয়েছিলেন দুবার (২০১৬ -১৮) এবং (২০১৮-২০) <ref name=”ASK”>{{ ওয়েব উদ্ধৃতি | শিরোনাম = Condolence message for demise of Prof. Isha Mohammed, former President of Asiatic Society Kolkata | ইউআরএল = https://m.facebook.com/455881717925308/photos/a.1406723339507803/1841683566011776/| সংগ্রহের-তারিখ = ২০২২-১০-০৯}}</ref>
==জীবনাবসান==
খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ঈশা মহম্মদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর পরবর্তীতে স্বল্প সময়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ১১ মে কলকাতায় পরলোক গমন করেন। <ref name=”ASK”/>
==তথ্যসূত্র==
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩৩-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০২১-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী: হুগলি জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় শিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি চিত্রশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের চিত্রশিল্পী]]