ইসলামের দৃষ্টিতে ত্রিত্ব

Wiki N Islam: /* কুরআনে */

{{কাজ চলছে}}
[[খ্রিস্টধর্ম|খ্রিস্টধর্মের]] [[ত্রিত্ববাদ]] অনুযায়ী, [[ঈশ্বর]] হলেন একজন একক সত্ত্বা যিনি স্থায়ীভাবে ও সহ-অনন্তভাবে তিনটি স্বতন্ত্র অস্তিত্বের (“ব্যক্তি”) সমন্বয়রূপে বিদ্যমান: [[পিতা ঈশ্বর|পিতা]], [[পুত্র ঈশ্বর|পুত্র]] ও [[পবিত্র আত্মা ঈশ্বর|পবিত্র আত্মা]]। ইসলামের দৃষ্টিতে, [[ইসলামে ঈশ্বর|আল্লাহর]] মাঝে যেকোনো প্রকার “বহুত্বের” ধারণাকে একত্ববাদের (”[[তাওহীদ]]”) পরিপন্থী এবং [[কুরআন|কুরআনে]] প্রাপ্ত দৈববাণীর সঙ্গে অসঙ্গত বলে মনে করা হয়। আল্লাহর অংশীদার সাব্যস্তকরণকে (”[[শিরক]]”) ইসলাম অবিশ্বাসের (”[[কুফর]]”) একটি অংশ বলে বিবেচিত হয়–তা সে পুত্র, কন্যা বা অন্যান্য অংশীদারই হোক না কেন। কুরআনে বারবার ও দৃঢ়ভাবে আল্লাহর পরম একত্বের কথা বলা হয়েছে, ফলে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বা ক্ষমতার উপর অংশীদারিত্ব স্থাপনের সম্ভাবনা ইসলামে নেই।<ref name=”EoQ_dt”>David Thomas, ”Trinity”, [[Encyclopedia of the Qur’an]]</ref> ইসলামে পবিত্র আত্মাকে ফেরেশতা [[জিবরাঈল]] বলে মনে করা হয়।<ref>{{Cite book|last1=Khan|first1=Muhammad Muhsin|url=https://books.google.com/books?id=S2CWzQEACAAJ|title=Interpretation of the Meaning of the Qur’an|last2=Al-Hilali|first2=Muhammad Taqi-ud-Din|date=2020-06-16|publisher=Amazon Digital Services LLC – KDP Print US|isbn=979-8-6539-5952-3|language=en}}</ref> মুসলিমরা শুরু থেকেই খ্রিস্টান ত্রিত্ববাদ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।<ref name=”EoQ_dt”/><ref name=”:sirry”>{{Cite book|url=https://books.google.com/books?id=_G2VAwAAQBAJ&pg=PA47|title=Scriptural Polemics: The Qur’an and Other Religions|last=Sirry|first=Mun’im|date=2014-05-01|publisher=Oxford University Press|isbn=978-0-19-935937-0|language=en}}</ref>

==কুরআনে==
কুরআনের তিনটি আয়াতে সরাসরি ত্রিত্ববাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, {{cite quran|4|171|style=nosup|expand=no}}, {{cite quran|5|73|style=nosup|expand=no}} এবং {{cite quran|5|116|style=nosup|expand=no}}।<ref name=”EoQ_dt”/>
{{quote|হে [[আহলে কিতাব]]গণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোনো কথা বলো না। নিঃসন্দেহে [[মরিয়ম বিনতে ইমরান|মরিয়ম]] পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রাসুল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তাঁর রাসুলগণকে মান্য করো। ”’আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক”’, একথা পরিহার করো; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমানসমূহ ও জমিনে রয়েছে সবই তাঁর। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।|{{cite quran|4|171|style=nosup|expand=yes}}}}
{{quote|<poem>৫:৭২ তাঁরা কাফির, যাঁরা বলে যে, মরিময় তনয় মসীহই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে [[ইস্রায়েলীয়|বনি ইসরাঈল]], তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, যিনি আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তাঁর জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তাঁর বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোনো সাহায্যকারী নেই।
৫:৭৩ ”’নিশ্চয়ই তাঁরা কাফির, যাঁরা বলে আল্লাহ তিনের এক”’; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। যদি তাঁরা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাঁদের মধ্যে যাঁরা কুফরে অটল থাকবে, তাঁদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।
৫:৭৪ তাঁরা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।
৫:৭৫ মরিয়ম তনয় মসীহ রাসুল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রাসুল অতিক্রান্ত হয়েছেন আর তাঁর জননী একজন ওলী। তাঁরা উভয়েই খাদ্য ভক্ষণ করতেন। দেখুন, আমি তাঁদের জন্যে কীরূপ যুক্তি-প্রমাণ বর্ননা করি, আবার দেখুন, তাঁরা উল্টা কোন দিকে যাচ্ছে।</poem>|{{cite quran|5|72-75|style=nosup|expand=yes}}}}
{{quote|<poem>৫:১১৬ যখন আল্লাহ বললেন, “হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, ”’আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত করো?”’” ঈসা বলবেন, “আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোনো অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথাও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয়ই আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।
৫:১১৭ আমি তো তাঁদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন করো যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি তাঁদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাঁদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাঁদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত।
৫:১১৮ যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তাঁরা আপনার দাস এবং যদি আপনি তাঁদেরকে ক্ষমা করেন, তবে আপনিই পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞ।”</poem>|{{cite quran|5|116–118|style=nosup|expand=yes}}}}

এর পাশাপাশি, {{cite quran|19|88–93|style=nosup|expand=no}}, {{cite quran|23|91|style=nosup|expand=no}} এবং {{cite quran|112|1–4|style=nosup|expand=no}} নং আয়াতগুলোও ত্রিত্ববাদের সঙ্গে সম্পর্কিত:
{{quote|<poem>১৯:৮৮ তাঁরা বলে দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।
১৯:৮৯ নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করেছো।
১৯:৯০ হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।
১৯:৯১ এ কারণে যে, তাঁরা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে।
১৯:৯২ অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।
১৯:৯৩ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।</poem>|{{cite quran|19|88-93|style=nosup|expand=yes}}}}
{{quote|আল্লাহ কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে কোনো মাবুদ নেই। থাকলে প্রত্যেক মাবুদ নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে চলে যেত এবং একজন অন্যজনের উপর প্রবল হয়ে যেত। তাঁরা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।|{{cite quran|23|91|style=nosup|expand=yes}}}}
{{quote|বলুন, “তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।”|{{cite quran|112|1-4|style=nosup|expand=yes}}}}

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}

Go to Source


Posted

in

by

Tags: