ভূপতি ভূষণ বর্মা

202.134.10.142:


ভূপতি ভূষণ বর্মা ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে (১০ কার্তিক, ১৩৬৪ বঙ্গাব্দ) কুড়িগ্রাম জেলাধীন উলিপুর উপজেলার আঠারো পাইকা গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রয়াত নরেন্দ্রনাথ বর্মা ছিলেন স্কুল শিক্ষক এবং মা স্বর্গীয় কামাখ্যাময়ী আদর্শ গৃহিণী। বাবা-মায়ের ৭ সন্তানের মধ্যে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা দ্বিতীয়। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=জনকণ্ঠ|প্রথমাংশ=দৈনিক|ভাষা=en|শিরোনাম=লোকসঙ্গীতের ভাস্কর ॥ ভূপতি ভূষণ বর্মা|ইউআরএল=https://www.dailyjanakantha.com/literature/news/433962|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-25|ওয়েবসাইট=দৈনিক জনকণ্ঠ {{!}}{{!}} Daily Janakantha}}</ref>

{| class=”wikitable”
! colspan=”2″ |ভূপতি ভূষণ বর্মা
|-
| colspan=”2″ |বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী।
|-
!জন্ম
|ভূপতি ভূষণ বর্মা
২৮ অক্টোবর ১৯৫৮

|-
!প্রতিষ্ঠাতা
|বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি উলিপুর, কুড়িগ্রাম।
|-
![[জাতীয়তা]]
|বাংলাদেশী
|-
![[নাগরিকত্ব]]
|বাংলাদেশী
|-
!পেশা
|শিক্ষকতা
|-
!পরিচিতির কারণ
|দেশ বরেণ্য ভাওয়াইয়া শিল্পী,সংগঠক ও লোকসংস্কৃতি সংগ্রাহক।
|}

”’কর্মজীবনঃ”’ তিনি পেশায় একজন মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক। শিক্ষকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু হলেও তিনি ভাওয়াইয়া সঙ্গীত চর্চাকে মনে প্রাণে ধারণ ও লালন-পালন করেন। এ সম্পর্কে শিল্পী বলেন, ‘জন্ম থেকে গ্রাম-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে ভাওয়াইয়া সুর এবং এর সহজ-সরল কথাগুলো আমাকে যেভাবে বিমোহিত করেছিল অন্য কোনো সঙ্গীত তা পারেনি। এ সঙ্গীতের সুর ও কথা যেমন হৃদয়গ্রাহী তেমনি অন্তর স্পর্শী। তাই নিজের অজান্তেই এই সঙ্গীতের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি।’ পেশাগত জীবন থেকে তিনি সদ্য অবসর গ্রহণ করেন। শিল্পীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে ভাই জগৎপতি বর্মা একজন কণ্ঠশিল্পী, অধীর চন্দ্র বর্মা দোতরা বাদক এবং নীহার রঞ্জন বর্মা তবলা বাদক হিসেবে সমান খ্যাতি অর্জন করেন। ভূপতি ভূষণ বর্মা বাবার অনুপ্রেরণায় সঙ্গীতের প্রথম হাতেখড়ি নেন ওস্তাদ সুরেন্দ্রনাথ বর্মনের কাছ থেকে। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আব্দুল করিমের লেখা বিখ্যাত ‘ও মোর কালারে কালা..’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি তিনি লীলা কীর্তনের দলে প্রধান গায়ক হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। এছাড়াও বাউল গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালি প্রভৃতি গানসহ কীর্তন বন্দী ও শ্যামা সঙ্গীতের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। কিন্তু সঙ্গীত সাধনার শুরুর দিকে তাঁর অনুকূল পরিবেশ ছিল না। তাই সঙ্গীত সাধনার অনুকূল পরিবেশ প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মাত্র ২২ বছর বয়সে সঙ্গীত অনুরাগী পরিবারের সাধনা রায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শ্বশুর পরিবারের প্রতিষ্ঠিত বেতার শিল্পী সুভাস চন্দ্র রায় এবং তরণীকান্ত রায়ের  অনুপ্রেরণায় শুরু হয় তাঁর সঙ্গীত জীবনের মসৃণ পথ চলা। পরবর্তীকালে তিনি অনন্ত কুমার দেব, প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার নুরুল ইসলাম জাহিদ, রবীন্দ্রনাথ মিশ্রের কাছ থেকে নিয়মিত তালিম গ্রহণ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=জনকণ্ঠ|প্রথমাংশ=দৈনিক|ভাষা=en|শিরোনাম=লোকসঙ্গীতের ভাস্কর ॥ ভূপতি ভূষণ বর্মা|ইউআরএল=https://www.dailyjanakantha.com/literature/news/433962|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-25|ওয়েবসাইট=দৈনিক জনকণ্ঠ {{!}}{{!}} Daily Janakantha}}</ref>

”’সম্মাননাঃ”’

কুড়িগ্রাম আয়োজিত জাতীয় নাট্য উৎসবে গুণীজন সংবর্ধনা স্মারক, ভাওয়াইয়া একাডেমি, রংপুর আয়োজিত ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দীন এর ১১০তম জন্ম উৎসবে ভাওয়াইয়া সংগঠক হিসেবে আব্বাস উদ্দীন পদক, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাডাঙ্গা মহকুমার লতাপাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ঠাকুর পঞ্চানন স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক সম্মাননা, জাতীয় জাদুঘর মিলায়তনে লোকসঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা, রংপুর ক্ষত্রিয় সমিতির শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সম্মাননা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ কর্তৃক সম্মাননা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দফতর আয়োজিত ২৬তম রাজ্য ভাওয়াইয়া সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে সম্মাননা স্মারক; উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক লোকউৎসবে সম্মাননা স্মারক; পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক ‘রাজবংশী ও জনজাতি চলচ্চিত্র উৎসব’ – এ সম্মাননা স্মারক, আব্বাস প্যারিমোহন দাস – লোকসংস্কৃতি সংস্থা, কোচবিহার কৃর্তক ‘আব্বাস উদ্দীন স্মৃতি পদক’ উল্লেখযোগ্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ভূপতি ভূষণ বর্মা – WikiAlpha|ইউআরএল=https://en.wikialpha.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%B7%E0%A6%A3_%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-25|ওয়েবসাইট=en.wikialpha.org}}</ref>

”'<big>তথ্যসুত্রঃ</big>”’


Posted

in

by

Tags: