ভাক্কম আব্দুল খাদের

Lakshmikanta Manna:


{{Infobox person
| name = ভাক্কম আব্দুল খাদের
| image = VAKKOM-ABDUL-KHADER-COMMEMORATIVE-STAMP.jpg
| alt = ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ভারতীয় ডাক টিকিট
| caption = শহীদ ভাক্কম আব্দুল খাদের
| other_names =
| birth_name = <!– only use if different from name –>
| birth_date = {{জন্ম_তারিখ|১৯১৭|০৫|২৫|df=yes}}
| birth_place = ভাক্কম, [[তিরুবনন্তপুরম]], ত্রাভাঙ্কোর
| death_date = {{মৃত্যু_তারিখ ও বয়স|১৯৪৩|০৯|১০|১৯১৭|০৫|২৫|df=yes}}
| death_place = জর্জ ফোর্ট, [[চেন্নাই|মাদ্রাজ]], [[ব্রিটিশ ভারত]]
| death_cause = ফাঁসি
| nationality = [[ভারতীয়]]
| occupation = [[সুভাষচন্দ্র বসু|সুভাষচন্দ্র বসুর]] নেতৃত্বাধীন [[ আজাদ হিন্দ ফৌজ| আজাদ হিন্দ ফৌজের]] এক সৈনিক
| years_active =
| known_for =
| notable_works =
| mother = উম্মু সালমা
| father = ভাভাকুঞ্জু
}}
”’ভাক্কম আব্দুল খাদের”’ (২৫ মে ১৯১৭ – ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩) ছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় বিপ্লবী এবং [[সুভাষচন্দ্র বসু| নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর]] নেতৃত্বে পুনর্গঠিত ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী তথা [[আজাদ হিন্দ ফৌজ|আজাদ হিন্দ ফৌজের]] একজন সৈনিক।<ref name=”AAM”>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Unsung Heros Detail, Vakkom Abdul Khader|ইউআরএল=https://amritmahotsav.nic.in/unsung-heroes-detail.htm?5495|সংগ্রহের-তারিখ=২০২২-০৯-২৮}}</ref>  ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ সেপ্টেম্বর মাদ্রাজ সেন্ট্রাল জেলে [[সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন| সত্যেন বর্ধন]] , আনন্দন এবং ফৌজা সিং-এর সঙ্গে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।  সকলেই বন্দে মাতরম গানে দেশমাতৃকার বন্দনায় আর ”বন্দে মাতরম” স্লোগান তুলে ফাঁসির মঞ্চ ওঠেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/dli.bengal.10689.12784|title=THE ROLL OF HONOUR|শেষাংশ=ঘোষ|প্রথমাংশ=কালীচরণ |তারিখ=১৯৬০|প্রকাশক=বিদ্যাভারতী,কলকাতা}}</ref>আবদুল খাদের নিজেই স্লোগান তুলেছিলেন “নেতাজি সুভাষ বাবু কি জয়! ব্রিটিশ সরকার নিপাত যাক! ভারতের জয় হোক!”। <ref>{{Cite web|title=മായ്ച്ചുകളഞ്ഞ വാക്ക്|url=https://www.manoramaonline.com/news/editorial/2017/09/08/lp-vakkom-abdul-khader.html|access-date=2021-09-21|website=ManoramaOnline}}</ref>

== প্রারম্ভিক জীবন এবং কর্মজীবন ==
আবদুল খাদের ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মে তিরুবনন্তপুরম জেলার ভাক্কমে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম ভাভাকুঞ্জু এবং মাতা উম্মু সালমা। স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে শ্রী নারায়ণ গুরু প্রতিষ্ঠিত শ্রী নারায়ণ বিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। স্কুলে শৈশবের দিনগুলিতে খাদের একজন ভাল ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। <ref>{{Cite web|last=Dutta|first=Pradip Kumar|title=Revolutionary Abdul Khader of Vakkom |url=http://dailyasianage.com/news/242077/?regenerate|access-date=2021-09-20|website=The Asian Age|language=en}}</ref>ছাত্রবস্থাতেই খাদের সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশাত্মবোধক গানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। মহাত্মা গান্ধী কেরালা সফরের সময়, তার ট্রেন কাদাক্কাভুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে, তিনি অত্যন্ত ভিড়ের মাঝে গান্ধীজিকে মাল্যদান করেন। <ref>{{Cite web|title=The little explored haven at Anchuthengu near Thiruvananthapuram|url=https://www.onmanorama.com/travel/kerala/2018/12/11/the-little-explored-haven-at-anchathengu.html|access-date=2021-09-20|website=www.onmanorama.com}}</ref> ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ২১ বৎসর বয়সে, তার পিতার নির্দেশে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানে তিনি গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশল বিভাগে যোগ দেন। পরে কিন্তু জাতীয়তাবোধ উদ্দীপ্ত খাদের মালয়েশিয়ায় ইন্ডিয়ান ইনডিপেনডেন্স লীগ তথা [[ ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ| ভারতীয় স্বাধীনতা লীগে]] যোগ দেন এবং একজন বিপ্লবী নেতা হয়ে ওঠেন।মালয়েশিয়ায় ইন্ডিয়ান ইনডিপেনডেন্স লীগকে সহযোগকারী কেরালা মুসলিমদের সংগঠন, কেরালা মুসলিম ইউনিয়নের সেক্রেটারিও হন। পরবরতীতে [[ সুভাষচন্দ্র বসু| নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর]] নেতৃত্বে পুনর্গঠিত ভারতীয় ন্যাশনাল আর্মি তথা [[ আজাদ হিন্দ ফৌজ | আজাদ হিন্দ ফৌজে]] যোগ দেন।<ref>{{Cite book|last=Chopra|first=Pran Nath|url=http://archive.org/details/whoswhoofindianm01chop|title=Who’s Who of Indian Martyrs, Vol. 1|date=2013|publisher=Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, Govt. of India|others=Public Resource|isbn=978-81-230-1757-0}}</ref> সেখানকার [[পেনাং]]-এ অবস্থিত ফ্রি স্কুলে (অধুনা পেনাং মিউজিয়াম) ভারতীয় স্বরাজ ইনস্টিটিউটে তার প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি সেনাদলের একজন কয়ার স্কোয়াডের সদস্য হন। <ref>{{Cite web|last=ഡെസ്ക്|first=വെബ്|title=വക്കം അബ്ദുൽ ഖാദർ: സ്വാതന്ത്ര്യസമര ചരിത്രത്തിലെ രക്തപുഷ്പം|url=https://www.madhyamam.com/opinion/articles/vakkom-abdul-khader/635815|access-date=2021-09-20|website=Madhyamam|language=en}}</ref>

==বিপ্লবী কার্যক্রম==

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যর টালমাটাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে আন্দোলন ঘটানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়। সেই বিপ্লব সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ২০ জন বিপ্লবীকে চারটি দলে বিভক্ত করে ভারতে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় দলের পাঁচজনের অন্যতম ছিলেন খাদের। প্রথম দল [[কালিকট|কালিকটে]] পৌঁছায় এবং দ্বিতীয় দলের সঙ্গে খাদের সাবমেরিন করে কাথিয়াওয়াড় উপকূলে পৌঁছান। দুর্ভাগ্যবশত নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছানোর আগেই তীরের কয়েকজন লোক পুলিশকে সংবাদ পাঠায়। ছোট রাবার বোটে তীরে অবতরণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খাদের ও তার সহযোদ্ধারা গ্রেফতার হন।

==বিচার ও সাজা==

আব্দুল খালেক, [[সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন]], ফৌজা সিং এবং আনন্দন সহ স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের গ্রেফতার করে তাদের মাদ্রাজের ফোর্ট সেন্ট জর্জে বন্দি করা হয়। এমনকি তাদের মাদ্রাজ ফোর্টে নির্যাতন করা হয়েছিল যাতে ভারতে প্রবেশের তাদের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সমস্ত গোপনীয়তা জানানো হয়।

==মৃত্যু==

সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগদান ও ষড়যন্ত্রের জন্যে তাদের বিচার শুরু হয় ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ। ১ এপ্রিল, ১৯৪৩ আরো চারজন বিপ্লবীর সাথে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়। ফাঁসির আগের দিন পরিজনদের লেখেন –

{{উক্তি ২|আমার প্রিয় বাবা, আমার দয়ালু মা, আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের কাছ থেকে চিরতরে বিদায় নিচ্ছি। আমার আত্মত্যাগ আগামীকাল সকাল ছয় টার আগে ঘটবে। যখন আপনারা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানবেন কত সাহস আর আনন্দে আমি ফাঁসি কাঠে গিয়েছি, আপনারাও নিশ্চয়ই গর্বিত হবেন।| | My dear father, my kind mother, my dear brothers and sisters,
I am bidding farewell to you forever. My humble death would occur before 6 am tomorrow. You will be pleased when you come to know from eyewitnesses how boldly and happily did I go the gallows. You will certainly be proud too…”|en}}

ভারতীয় ন্যাশনাল আর্মির সৈন্য আব্দুল খাদের এবং তার তিন সহযোদ্ধা সত্যেন বর্ধন , ফৌজা সিং এবং আনন্দনকে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে মাদ্রাজ পেনিটেনশিয়ারিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় মধ্যরাত বারোটায়। ফাঁসির আগের প্রায় পুরো রাত জেল বন্দে মাতরম গানে মুখরিত হয়েছিল। অত্যন্ত সাহসের সাথে, আব্দুল খাদের, সত্যেন বর্ধন, ফৌজা সিং এবং আনন্দন, মাতৃভূমির জয়গানে, বন্দে মাতরম স্লোগানে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন। আবদুল খাদের নিজেই স্লোগান তুলেছিলেন ‘নেতাজি সুভাষ বাবু কি জয়! বৃটিশ সরকারের নিপাত যাক! ভারতের জয় হোক! ” <ref>{{Cite web|title=Abdul Khader – INA Army – Freedom Fighter – Martyr|url=http://www.mpositive.in/tag/abdul-khader-ina-army-freedom-fighter-martyr/|access-date=2021-09-20|language=en-US}}</ref>

আবদুল খাদের, [[সত্যেন্দ্রচন্দ্র বর্ধন| সত্যেন্দ্র বর্ধন]], ফৌজা সিং এবং আনন্দনের শহীদ হওয়ার বার্তা ভারতের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যায়। পরবর্তীতে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট এই শহীদদের ভস্মে ভারত তার স্বাধীনতা অর্জন করতে বেশি সময় নেয়নি।<ref>{{Cite web|title=The little explored haven at Anchuthengu near Thiruvananthapuram|url=https://www.onmanorama.com/travel/kerala/2018/12/11/the-little-explored-haven-at-anchathengu.html|access-date=2021-09-21|website=www.onmanorama.com}}</ref> তাদের স্মৃতিতে ত্রাভাঙ্কোরে একটি ছোট স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে। memory.<ref>{{Cite web|title=India 1998 Vakkom Abdul Khader Phila-1624 Cancelled Folder|url=https://www.philindiastamps.com/products/india-1998-vakkom-abdul-khader-phila-1624-cancelled-folder|access-date=2021-09-21|website=Phil India Stamps|language=en}}</ref>

== তথ্যসূত্র ==

[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৭-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বিপ্লবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় জাতীয়তাবাদী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন]]


Posted

in

by

Tags: