প্রসাদ

Rupok kumar saha: প্রসাদ কি?


প্রসাদ কি?

প্রসাদ গ্রহন ও পাওয়া কেন সৌভাগ্যজনক??

জীবিকার জন্য অবশ্যই আমরা প্রতিনিয়ত আহার করে থাকি। কিন্ত আহার যার কৃপা বলে, আমরা গ্রহন করছি!! তাকে কি আমরা তা গ্রহনের পূর্বে স্বরন করি? নাকি স্বার্থপর এর মতো বিনা কৃতজ্ঞতায় তা গ্রহন করে চলছি? যা সত্যিই আমাদের জন্য অকল্যাণ জনক।

ভগবান গীতায় বলেছেন,

যে শুদ্ধ দ্রবাদি ভক্তিসহকারে ভগবানকে উতসর্গ করা হয়। তাহাই ভগবান উপহার হিসেবে গ্রহন করেন এবং তাহাই প্রসাদ রুপে জগৎ খ্যাত হয়। তুমি যাহা কিছুই করো, যাহা কিছু গ্রহন করো, যাহা কিছু পরিত্যাগ করো, যাহা হোম করো। সমস্ত কিছুই আমাতে সমর্পন পূবক করো। (শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ৯/২৬-২৭)

এছাড়াও ভগবান গীতায় আরো বলেছেন,

সমস্ত কিছুর পূর্বে ওঁ তৎ সৎ অর্থাৎ ভগবানের প্রতি নিবেদন করা পূর্বক সমস্ত শুদ্ধ ও সমস্ত শুভ কার্য সম্পাদন করা উচিৎ। (শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ১৭/২৪-২৭)

অতএব এই ভগবানের সুন্দর পৃথিবীতে, আমরা তার কৃপায় সুঃখ, দুঃখ মিলিয়েই বেচে আছি। আমরা তার উপসনা ও তার সন্তষ্টিতেই অপাকৃত সুখ খুজে পাই। তাই তাহার নিমিত্তেই সমস্ত কিছু করা উচিত। শুদ্ধ ও শাস্ত্রসিদ্ধ আহার তার প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা স্বরনে গ্রহন করলেও সেটা প্রসাদ রুপে রুপান্তরিত হয়।

আর ভক্তি ও শ্রদ্ধা মিলিত পূজার ভোগ তো অবশ্যই ভগবান প্রসাদ রুপে জগতে খ্যাতি আছে। তা আমরা প্রায়শই সৌভাগ্যরুপে গ্রহন করে থাকি। সেখানে ভগবানের ভক্তদের সম্মিলিত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বলে, তাহা মহাপ্রসাদে পরিনিত হয়। আর আমরা সকলে সেখানে তাহা শুদ্ধ চিত্তে গ্রহন করে। ভগবানের কৃপা লাভের দিকে অগ্রসর হয়ে থাকি।

ভগবানকে স্বরন করে, গ্রহন করাই প্রসাদ গ্রহন। আর ভগবানকে স্বরন না করে গ্রহন করাই স্বার্থপর। কারন আমরা যাহাই গ্রহন করতে পারছি এবং যাহাই পাবো! তাহা আমাদের পরিশ্রম, ইচ্ছা এবং ভগবানের কৃপা বলেই পাই অথবা পাবো। তাই আমাদের অবশ্যই ভগবানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, গ্রহন করা উচিত। যাতে ভগবানের সন্তষ্টি অর্জন করা যায়।

আসুন সবাই ভগবানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে,

সর্বদা ভগবানের প্রসাদ ও কৃপালাভ করি। আর এই মহাপ্রসাদ সেবনের আরেকটি সুন্দর দিক হলো, এইখানে ধনী-গরীব সকলের অর্থ মিলে একাকার হয়ে যায়। ধনী-গরীব সকলে মিলে একই থালায়, একই আসনে, একই প্রসাদ গ্রহন করেন। কারন জাগতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকলেও! ভগবানের ভক্তের কোন বিভেদ অথবা বৈষম্য নেই।


Posted

in

by

Tags: