Owais Al Qarni: নতুন নিবন্ধ
== কারণ ==
ইতিহাসবিদ আলী সাল্লাবি দারুল আরকামকে ইসলামের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যথা:<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2021/03/16/1014478|শিরোনাম=ইসলামের প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র যেভাবে গড়ে ওঠে|শেষাংশ=খসরু|প্রথমাংশ=আতাউর রহমান|তারিখ=১৬ মার্চ ২০২১|কর্ম=দৈনিক কালের কণ্ঠ}}</ref>
# আরকাম মুসলিম হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। তাই কারো ধারণা হতো না যে তার বাড়িতে মুহাম্মদ (সা.) ও সাহাবিরা একত্র হতে পারে।
# আরকাম ছিলেন বনু মাখজুমের সদস্য। বনু মাখজুমের সঙ্গে বনু হাশিমের দ্বন্ধ ছিল। ফলে তার বাড়িতে একত্র হওয়ার সংবাদ প্রকাশ পেলেও শত্রুপক্ষের বাড়িতে ইসলামবিরোধীদের হামলা করার ঝুঁকি ছিল না।
# ইসলাম গ্রহণের সময় আরকাম ইবনে আবিল আরকামের বয়স ছিল ১৬ বছর। এত অল্প বয়সের কারো বাড়িতে মুসলিমরা একত্র হবে—এমন সন্দেহ পোষণের সম্ভাবনা কম ছিল।
# আরকামের বাড়ি ছিল ‘সাফা’ পর্বতের কাছে অবস্থিত। যা মক্কা থেকে নিরাপদ দূরত্বে এবং সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। সেখানে থেকে অন্যদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।
# আরকাম ছিলেন ওহি লেখকদের অন্যতম। রাসুলুল্লাহ (সা.) তার মাধ্যমে কুরআন লিপিবদ্ধ করাতেন।
== বাড়ির ইতিহাস ==
আব্বাসী খলিফা মানসুরের সময় ১৪০ হিজরি পর্যন্ত বাড়ীটি অবিকৃত অবস্থায় ছিল। কিন্তু এ বছরই [[:en:Muhammad ibn Abd Allah ibn Hasan|মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে হাসান]] মদিনায় [[আব্বাসীয় খিলাফত|আব্বাসী শাসনের]] বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। আরকামের পৌত্র আবদুল্লাহ ইবন উসমানও ছিলেন এ বিদ্রোহের একজন সমর্থক ও সহযোগী। এ কারণে খলিফা [[আল মনসুর|আল মানসুরের]] নির্দেশে মদিনার তৎকালীন ওয়ালী তাকে গ্রেফতার করেন। খলিফা মানসুর তার বিশ্বস্ত সহকারী শিহাব উদ্দিন ইবনে আবদে বরকে পাঠালেন আবদুল্লাহর নিকট এই বাড়িটি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে।
আবদুল্লাহ প্রথমত বিক্রী করতে অস্বীকার করেছিলেন; কিন্তু কয়েদ থেকে মুক্তির শর্তে এবং উচ্চ মূল্যের লোভে শেষ পর্যন্ত বিক্রী করতে সম্মত হন।<ref name=”Ibn Saad/Bewley, p. 186″>Ibn Saad/Bewley, p. 186.</ref> আল মানসুর ১৭,০০০ দিনারের বিনিময়ে এ ঐতিহাসিক বাড়িটির মালিকানা লাভ করেন। বাড়ীটির অন্য শরীকরা প্রথমত রাজী না হলেও আস্তে আস্তে তারাও রাজী হয়ে যান। খলিফা মানুসরের পর খলিফা মাহদী এ বাড়ীটি তাঁর প্রিয়তমা দাসী খায়যুরানকে দান করেন। তিনি বাড়িটির পুরনো কাঠামো ভেঙ্গে সম্পূর্ণ নতুন অট্টালিকা তৈরী করেন এবং বাড়িটি এখন দারুল খায়জুরান নামে পরিচিত।<ref name=”Ibn Saad/Bewley, p. 186″ /> বর্তমানে এটা কাবার বিপরীত পাশে অবস্থিত এবং একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2015-10-03|ভাষা=bn-BD|শিরোনাম=আল-আরকাম ইবন আবিল আরকাম (রাঃ)|ইউআরএল=https://i-onlinemedia.net/8177|সংগ্রহের-তারিখ=2020-07-18|ওয়েবসাইট=ইসলামিক অনলাইন মিডিয়া}}</ref>
== আরও দেখুন ==
* [[সুফফা]]
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}